তৎকালীন সময়ে না ছিল ফোন, না ছিল দ্রুত যোগাযোগের কোনও ব্যবস্থা। না থাকত সাধারণ মানুষদের সচেতন করার কোনও মাধ্যম। আর সেখানেই অনন্য ভূমিকা পালন করেছে পটচিত্রশিল্পীরা। কাগজ কিংবা কাপড়ের উপর আঁকা নানান ধরনের ছবি, মূলত ভেষজ রং দিয়ে আঁকা এই ছবির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হত নানান গান। বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক, ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক নানান ছবি এঁকে গান বেঁধে গ্রামে গ্রামে প্রচার করতেন তারা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ
শুধু তাই নয়, আয় উপার্জনেরও ভরসা ছিল এই পটচিত্র। গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি ছিল তাদের পেশা। জাতিতে মুসলমান হলেও তারা নিজেদেরকে পরিচয় দিতেন শিল্পী হিসেবে নামের সঙ্গে জুড়েছেন চিত্রকর পদবী।
আরও পড়ুনঃ কলকাতার আদলে পুরুলিয়ায় ক্রিসমাস কার্নিভাল! বড়দিন থেকে বর্ষবরণ উৎসবের বিরাট আয়োজন, রইল ঝলক
সময় বদলেছে, বদলেছে সভ্যতা। বদল হয়েছে পটচিত্র শিল্পীদের জীবনযাত্রায়। শত বছরের সেই ধারাকে ধরে রেখেছে শিল্পীরা। পিংলার পটচিত্র গ্রামে প্রতিদিন সকাল থেকে বিভিন্ন ধরনের ভেষজ রং নিয়ে ছবি আঁকতে বসে পড়েন শিল্পীরা। ফুটিয়ে তোলেন নানা ধরনের ছবি। বিনিময়ে এই শিল্প গ্রামে এসেছে রাষ্ট্রপতি-সহ একাধিক সম্মান। সামান্য ভিক্ষাবৃত্তি এবং সচেতনতার জন্য ব্যবহৃত সেই পট এখন সারা বিশ্বে সমাদৃত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সমাজ ও রাজনীতি ধর্মীয় নানান ব্যবস্থাপনার ঊর্ধ্বে উঠে নিজেদের শিল্পী এবং মানুষ হিসাবে পরিচিতি দিতে চান শিল্পীরা। পরম্পরা বাঁচিয়ে রেখেছেন শতাধিক শিল্পী। এককালের বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রেখে সাধারণ মানুষের কাছে উপস্থাপন করেছেন পট শিল্পীরা।





