TRENDING:

Bamboo Made Items: পূর্বপুরুষদের পেশায় সামান্য বদল! আর তাতেই খুলে গেল রোজগারের নতুন দিশা, জানলে অবাক হবেন

Last Updated:

পূর্বপুরুষদের পেশায় সামান্য বদলে নতুন আয়ের দিশা দুই পরিবারের।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর: বাজারে প্লাস্টিকের দাপট। পূর্বপুরুষদের পেশা সামলে চলে না দিন। যে বাড়িতে ঝুড়ি, কুলো বানানো হত, সেখানেই উত্তর পুরুষেরা এখন তৈরি করছেন নানা সৌখিন জিনিস। বিভিন্ন মেলা উৎসব অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন প্যান্ডেলের থিমেও কাজ করছেন তারা। বাড়িতে বসে বাঁশ দিয়ে ঝুড়ি বা অন্যান্য জিনিস বানানো নয়, বাঁশ দিয়ে তৈরি করছেন নানা সৌখিন জিনিস। বিভিন্ন মেলা, উৎসব অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন পুজোর সময় প্যান্ডেল ডেকোরেশন অথবা সৌখিন জিনিসপত্র হিসেবে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। চুলে মারা ক্লিপ, বিভিন্ন ওয়াল হ্যাংগিং থেকে ব্যবহার্য নানা জিনিস তৈরি হচ্ছে সম্পূর্ণ বাঁশ দিয়ে। বাড়ির সকলে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। সরকারি মেলা বিভিন্ন বেসরকারি মেলা অথবা পাইকারি ও খুচরা দরে বিক্রি হচ্ছে বাঁশ দিয়ে তৈরি নানা জিনিস। স্বাভাবিকভাবেই পারিবারিকভাবে বেশ লাভ জুটছে তাদের। পেশাগত ভাবে তারা বিভিন্ন ব্যান্ডের সরঞ্জাম বাজান। সেটি ছিল তাদের পেশা। তবে অতিরিক্ত আয় রোজগারের আশায় তারা এই সৌখিন জিনিসপত্র বানিয়ে বিক্রি করেন বাজারে। প্রত্যন্ত গ্রামের এই পরিবার দিচ্ছে স্বনির্ভর হওয়ার এক নতুন দিশা। প্রত্যন্ত গ্রামে থেকেও পূর্বপুরুষদের পেশাকে সামান্য পরিবর্তিত করে লাভ জুটছে তাদের।
advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত একটি ছোট্ট গ্রাম। এই গ্রামে বসবাস বেশ কয়েকটি পরিবারের। গ্রামের অধিকাংশ পরিবার যুক্ত বাঁশের তৈরি ঝুড়ি বা অন্যান্য জিনিস প্রস্তুতিতে। তবে, প্রথাগত সেই ঝুড়ি বা অন্যান্য জিনিস না তৈরি করে বাঁশ দিয়ে নানা সৌখিন জিনিসপত্র বানিয়ে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়েছে এই পরিবার। বাড়ির সকলে কম বেশি যুক্ত এই কাজে। বাড়ি পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও অন্যান্য সাংসারিক কাজের পর তৈরি করেন এই সৌখিন জিনিস। তাদের কাছে যেমন পেন স্ট্যান্ড, টেবিল ল্যাম্প, চুলের ক্লিপ সহ একাধিক জিনিস রয়েছে তেমনই তারা নিজেরাই প্রস্তুত করেন ঢাক, বাঁশিও।

advertisement

আরও পড়ুন: কাগজ, ফটো পেপার অতীত! এবার মাদুরে ফুটে উঠবে আপনার মুখ! শিল্পীর অভূতপূর্ব শিল্পকলা অবাক করছে সবাইকে

প্রসঙ্গত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চাঁদড়া সংলগ্ন ছোট্ট গ্রাম বেলিয়া ভূঁইয়াহাতা। এই গ্রামের দুই ব্যক্তি করুণা কালন্দি এবং দীনবন্ধু কালন্দি দুই ব্যক্তি মিলেই শুরু করেছেন বাঁশ দিয়ে নানা সৌখিন জিনিস তৈরির কাজ। বংশ পরম্পরায় তারা বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নিজেদের জীবনজীবিকা নির্বাহ করতেন। এখনও সেই ধারাকে অব্যাহত রেখেছেন তারা। ঢাঁক, ঢোল, কাসর, বাঁশি, সানাই বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে আর্থিক আয় রোজগারের পাশাপাশি তারা বিকল্প আয়- রোজকার হিসেবে এই নানা ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি করছেন। তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেন বাড়ির মহিলারা।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

তাদের তৈরি এই সকল জিনিস বিক্রি হয় বিভিন্ন মেলা, উৎসব অনুষ্ঠানে। শুধু তাই নয় বড় বাজেটের দুর্গাপূজা কিংবা অন্যান্য প্যান্ডেল থিমেও তারা তাদের সৌখিনতা প্রদর্শন করেন। স্বাভাবিকভাবে প্রত্যন্ত গ্রামের এই পরিবারের উদ্যোগ এবং তাদের সৌখিনতা ও শৈল্পিক ভাবনা অবাক করবে সকলকে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
'আসছে বছর আবার হবে'! দিঘার সমুদ্রে বিলীন দেবী দুর্গা, ঢেউয়ের গর্জনে মিশল বিদায়ের সুর
আরও দেখুন

রঞ্জন চন্দ

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bamboo Made Items: পূর্বপুরুষদের পেশায় সামান্য বদল! আর তাতেই খুলে গেল রোজগারের নতুন দিশা, জানলে অবাক হবেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল