পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত একটি ছোট্ট গ্রাম। এই গ্রামে বসবাস বেশ কয়েকটি পরিবারের। গ্রামের অধিকাংশ পরিবার যুক্ত বাঁশের তৈরি ঝুড়ি বা অন্যান্য জিনিস প্রস্তুতিতে। তবে, প্রথাগত সেই ঝুড়ি বা অন্যান্য জিনিস না তৈরি করে বাঁশ দিয়ে নানা সৌখিন জিনিসপত্র বানিয়ে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়েছে এই পরিবার। বাড়ির সকলে কম বেশি যুক্ত এই কাজে। বাড়ি পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও অন্যান্য সাংসারিক কাজের পর তৈরি করেন এই সৌখিন জিনিস। তাদের কাছে যেমন পেন স্ট্যান্ড, টেবিল ল্যাম্প, চুলের ক্লিপ সহ একাধিক জিনিস রয়েছে তেমনই তারা নিজেরাই প্রস্তুত করেন ঢাক, বাঁশিও।
advertisement
আরও পড়ুন: কাগজ, ফটো পেপার অতীত! এবার মাদুরে ফুটে উঠবে আপনার মুখ! শিল্পীর অভূতপূর্ব শিল্পকলা অবাক করছে সবাইকে
প্রসঙ্গত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চাঁদড়া সংলগ্ন ছোট্ট গ্রাম বেলিয়া ভূঁইয়াহাতা। এই গ্রামের দুই ব্যক্তি করুণা কালন্দি এবং দীনবন্ধু কালন্দি দুই ব্যক্তি মিলেই শুরু করেছেন বাঁশ দিয়ে নানা সৌখিন জিনিস তৈরির কাজ। বংশ পরম্পরায় তারা বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নিজেদের জীবনজীবিকা নির্বাহ করতেন। এখনও সেই ধারাকে অব্যাহত রেখেছেন তারা। ঢাঁক, ঢোল, কাসর, বাঁশি, সানাই বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে আর্থিক আয় রোজগারের পাশাপাশি তারা বিকল্প আয়- রোজকার হিসেবে এই নানা ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি করছেন। তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেন বাড়ির মহিলারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তাদের তৈরি এই সকল জিনিস বিক্রি হয় বিভিন্ন মেলা, উৎসব অনুষ্ঠানে। শুধু তাই নয় বড় বাজেটের দুর্গাপূজা কিংবা অন্যান্য প্যান্ডেল থিমেও তারা তাদের সৌখিনতা প্রদর্শন করেন। স্বাভাবিকভাবে প্রত্যন্ত গ্রামের এই পরিবারের উদ্যোগ এবং তাদের সৌখিনতা ও শৈল্পিক ভাবনা অবাক করবে সকলকে।
রঞ্জন চন্দ