বাচ্চা হাতির মৃত্যুতে চাঞ্চল্য পশ্চিম মেদিনীপুরে। গণেশ পুজোর পরের দিনই বাচ্চা হাতির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পশুপ্রেমীরা। তবে সাধারণ মৃত্যু বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান বন দফতরের। মাস খানেক আগে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক হাতির। তবে এবার জঙ্গলের মধ্যে হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায় মেদিনীপুর ডিভিশনের অন্তর্গত শালবনী এলাকায়।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শালবনি হাসপাতালের অনতি দূরে বৃহস্পতিবার সকালে এক বাচ্চা হাতির মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। বন বিভাগের কর্মীরা এসে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। মেদিনীপুর ডিভিশনের ডিএফও দীপক এম বলেন, “প্রাথমিকভাবে অনুমান এই মৃত্যু স্বাভাবিক। তবে ময়নাতদন্ত করার পর জানা যাবে হাতির মারা যাওয়ার আসল কারণ। ইতিমধ্যে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে বন বিভাগের তরফে।”
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে এপ্রিল মাসে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রামের কলমাপুকুরিয়া এলাকায় মৃত্যু হয়েছিল একটি হাতির। তবে কয়েক মাস আগে ট্রেনের ধাক্কায় ঝাড়গ্রামে মৃত্যু হয় একটি হাতির। ফের জঙ্গলমহলে হাতির মৃত্যু। স্বাভাবিকভাবে কারণ নিয়ে ধন্দে সাধারণ মানুষ। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরে একটি হাতির পাল অবস্থান করছে এই জঙ্গলে। নজরদারি ছিল প্রশাসনের তরফে। বন আধিকারিক বলেন, রাতেই মৃত্যু হয়েছে। সকালে মৃতদেহ দেখা যায়। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই ঘটনায় মর্মাহত পশুপ্রেমীরা। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, ‘সকালে হাতিটিকে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পাশে গেলে জানা যায় হাতিটি মৃত। বন দফতরে খবর দেওয়া হলে কর্মীরা আসেন।’ জঙ্গলমহলের এক পশুপ্রেমী রাজনীতিবিদ সন্দীপ সিংহ বলেন, মিরগা বিট, বরাকুলি গ্রামে গণেশ চতুর্থীর দিন থেকে হাতিরা ছিল। জঙ্গলে খুব শান্তভাবে হাতিরা থাকে। তবে এই মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই অনুমান করা হচ্ছে। বন দফতর খতিয়ে দেখছে। স্বাভাবিকভাবে গণেশ পুজোর পরের দিন বাচ্চা হাতির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সকলে। তদন্তে বন বিভাগ।