এবার শুধু ঘাটাল নয়, ভাসাপুল চালু হল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকের সত্যপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ট্যাবাগেড়িয়াতে। অস্থায়ী সেতুর বদলে এবার এখানে কংসাবতী নদীর উপর ঘাটালের আদলে ভাসাপুল চালু হয়েছে। যদিও ভাসাপুল চালু হওয়ায় নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের বেশ উপকার হল বলে মনে করছেন সকলে। তবে দীর্ঘদিনের দাবি কংক্রিটের সেতু, তা কার্যত অধরাই রইল। কারণ ফি বছরে অতি বৃষ্টিতে কংসাবতী নদীর জলের স্তর ও বেগ বেড়ে যাওয়ার প্লাবিত হয় ফেয়ার ওয়েদার সেতুটি। স্বাভাবিকভাবে কম সময়ে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দুই পাড়ের মানুষের। স্বাভাবিকভাবে নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। আসা যাওয়ার জন্য ভরসা করতে হয় নৌকার উপর।
advertisement
তবে এবার থেকে এক অনন্য উদ্যোগ। কংসাবতী নদীতে প্রায় ১০টি নৌকো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভাসাপুল। প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে হঠাৎ করে কংসাবতী নদীর জলের স্তর ও বেগ বেড়ে যাওয়ায় ট্যাবাগেড়িয়ায় অস্থায়ী সেতুটি জলের তোড়ে ভেসে যায়। তারপর শুক্রবার থেকে শুরু হয় নৌকায় খেয়া পারাপার। কিন্তু এতে মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। তাই এবার খেয়াঘাটের মালিক বিজয় কৃষ্ণ দাস উদ্যোগ নেন ভাসাপুল নির্মাণের। রবিবার সকাল থেকে কাজ শুরু হয়। জানা গিয়েছে, ৪৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট চওড়ার এই ভাসাপুল নির্মাণের জন্য সাড়ে আট লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়েছে। ঘাটালের ভাসাপুল নির্মাণের ও পরিচালনার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ১০ জন মানুষ এই ভাসাপুল নির্মাণে সহযোগিতা করছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ভাসাপুল নির্মাণের জন্য মোট ১০টি নৌকা ব্যবহার করা হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্বাভাবিকভাবে আপাতত স্বস্তি সাধারণ মানুষের। বিপদজনকভাবে খেয়া পারাপার নয়, এবার থেকে ভাষা ফুল দিয়ে যাতায়াত করবেন সাধারণ মানুষ। তবে সকলের দাবি দ্রুত পাকার সেতু নির্মাণ হোক। তবে এই ভাসাপুল, ঘাটের লিজ নেওয়া মালিকপক্ষ করেছেন। এই ভাসাপুলের রক্ষণাবেক্ষণ থেকে যাবতীয় দায়িত্ব ঘাট মালিকদের।
রঞ্জন চন্দ