TRENDING:

Bhasa Pool: নৌকার উপরে আস্ত একটা সেতু! আর ছুটতে হবে না ঘাটাল, এবার হুবহু একই ভাসাপুল চালু হল আরও এক জায়গায়

Last Updated:

Bhasa Pool: যাতায়াতের সুবিধার জন্য এবার নদীর উপর ভাসমান পুল, নদীর উপর এমন সেতু তৈরি করা হয়েছে ১০টি নৌকো ব্যবহার করে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর: সারা ভারতের মধ্যে ইতিহাস এবং ঐতিহ্য বয়ে চলেছে ঘাটালের ভাসাপুল। নদীর উপর ভাসমান নৌকো। তার ওপর পাটাতন বিছিয়ে ইংরেজদের সময় থেকে চলছে যাতায়াত। তবে শুধু ঘাটাল নয়, এই গ্রামে এলেও দেখা মিলবে ভাসাপুলের। এবার সাধারণ মানুষের যাতায়াতের কথা মাথায় রেখে, ঘাটালের সেই ঐতিহ্যকে বাস্তবায়িত করা হল ডেবরার এক গ্রামে। ডেবরার এক প্রান্ত দিয়ে বয়ে চলেছে কংসাবতী নদী। সারা বছর নদীতে জল কম থাকায়, ফেয়ার ওয়েদার সেতু দিয়ে যাতায়াত করতেন সাধারণ মানুষ। একদিকে ডেবরা বাজার, থানা, জাতীয় সড়ক অন্যদিকে বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে ভরসার রাস্তা ছিল এই ফেয়ার ওয়েদার সেতু। নয়ত ঘুর পথে যাতায়াত করতে হত। তবে এবার সবার কথা মাথায় রেখে নতুন এক উদ্যোগ নেওয়া হয়।
advertisement

এবার শুধু ঘাটাল নয়, ভাসাপুল চালু হল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকের সত্যপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ট্যাবাগেড়িয়াতে। অস্থায়ী সেতুর বদলে এবার এখানে কংসাবতী নদীর উপর ঘাটালের আদলে ভাসাপুল চালু হয়েছে। যদিও ভাসাপুল চালু হওয়ায় নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের বেশ উপকার হল বলে মনে করছেন সকলে। তবে দীর্ঘদিনের দাবি কংক্রিটের সেতু, তা কার্যত অধরাই রইল। কারণ ফি বছরে অতি বৃষ্টিতে কংসাবতী নদীর জলের স্তর ও বেগ বেড়ে যাওয়ার প্লাবিত হয় ফেয়ার ওয়েদার সেতুটি। স্বাভাবিকভাবে কম সময়ে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দুই পাড়ের মানুষের। স্বাভাবিকভাবে নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। আসা যাওয়ার জন্য ভরসা করতে হয় নৌকার উপর।

advertisement

আরও পড়ুন: শান্ত স্নিগ্ধ সুবর্ণরেখার জল বাড়তেই বিপত্তি! কোথায় পালাল ফেয়ার ওয়েদার সেতু, সমস্যায় ২ রাজ্যের বাসিন্দারা

তবে এবার থেকে এক অনন্য উদ্যোগ। কংসাবতী নদীতে প্রায় ১০টি নৌকো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভাসাপুল। প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে হঠাৎ করে কংসাবতী নদীর জলের স্তর ও বেগ বেড়ে যাওয়ায় ট্যাবাগেড়িয়ায় অস্থায়ী সেতুটি জলের তোড়ে ভেসে যায়। তারপর শুক্রবার থেকে শুরু হয় নৌকায় খেয়া পারাপার। কিন্তু এতে মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। তাই এবার খেয়াঘাটের মালিক বিজয় কৃষ্ণ দাস উদ্যোগ নেন ভাসাপুল নির্মাণের। রবিবার সকাল থেকে কাজ শুরু হয়। জানা গিয়েছে, ৪৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট চওড়ার এই ভাসাপুল নির্মাণের জন্য সাড়ে আট লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়েছে। ঘাটালের ভাসাপুল নির্মাণের ও পরিচালনার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ১০ জন মানুষ এই ভাসাপুল নির্মাণে সহযোগিতা করছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ভাসাপুল নির্মাণের জন্য মোট ১০টি নৌকা ব্যবহার করা হয়েছে।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

স্বাভাবিকভাবে আপাতত স্বস্তি সাধারণ মানুষের। বিপদজনকভাবে খেয়া পারাপার নয়, এবার থেকে ভাষা ফুল দিয়ে যাতায়াত করবেন সাধারণ মানুষ। তবে সকলের দাবি দ্রুত পাকার সেতু নির্মাণ হোক। তবে এই ভাসাপুল, ঘাটের লিজ নেওয়া মালিকপক্ষ করেছেন। এই ভাসাপুলের রক্ষণাবেক্ষণ থেকে যাবতীয় দায়িত্ব ঘাট মালিকদের।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোয় দয়াময়ী কালী মন্দিরে একাধিক আয়োজন, 'জাগ্রতা' দেবীর কাছে পুজো দিতে ভক্তদের ভিড়
আরও দেখুন

রঞ্জন চন্দ

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bhasa Pool: নৌকার উপরে আস্ত একটা সেতু! আর ছুটতে হবে না ঘাটাল, এবার হুবহু একই ভাসাপুল চালু হল আরও এক জায়গায়
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল