কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই বদলে যায় পরিবেশ। কারণ পুলিশ আজ এসেছে শাসাতে নয়, শেখাতে। পুলিশের ইউনিফর্মেই তারা পরিণত হলেন ‘টিচার’-এ। শিক্ষকের ভূমিকায় এদিন ক্লাস নিলেন থানার আধিকারিকরা। বাচ্চাদের সামনে খুব সহজভাবে তুলে ধরলেন রাস্তায় চলাফেরার নিয়মকানুন।
advertisement
কীভাবে রাস্তা পারাপার করতে হয়। ট্রাফিক সিগন্যালে কোন আলো কী নির্দেশ দেয়। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে কোন বিষয়গুলোতে নজর রাখতে হয়। সবটাই হাতে-কলমে দেখিয়ে বোঝাতে থাকেন পুলিশ কর্মীরা।
বাচ্চারা মন দিয়ে শোনে, প্রশ্ন করে, আবার নিজেরাই অনুশীলন করে দেখায় কীভাবে নিরাপদে রাস্তা পার হতে হয়। পুলিশের আন্তরিকতা আর বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণে খুদেদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে দাসপুর থানার ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন স্কুলে চলছে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচি।
আরও পড়ুনঃ প্রেমের বিয়ের রক্তাক্ত পরিণতি! অশান্তির জেরে স্ত্রীকে কোপাল স্বামী, দত্তপুকুরে ভয়ঙ্কর কাণ্ড
প্রশাসনের এই প্রচেষ্টা শিশুদের ছোট বয়স থেকেই নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করে তুলছে। শুধু ছাত্রছাত্রী নয়, অভিভাবকরাও পুলিশের এই উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। কারণ নিয়ম মেনে চলার শিক্ষা যদি ছোট থেকেই তৈরি হয়, ভবিষ্যতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দাসপুরের স্কুলে পুলিশের এই নতুন ভূমিকায় শিক্ষক, অভিভাবক, ছাত্রছাত্রী সবাই দারুণভাবে সন্তুষ্ট। ইউনিফর্ম একই, ভূমিকা নতুন এবং সেই পরিবর্তনই আজ স্কুলপাড়ায় এনে দিল অন্যরকম শিক্ষার অভিজ্ঞতা।





