শুধু তাই নয়, বিভিন্ন পুরনো নোট-কয়েন এমনকি দেশ ও বিদেশের একাধিক ব্যবহৃত জিনিস সংরক্ষণ করে রেখেছেন তিনি। সংখ্যাটা বেশ কয়েকশো। ছাত্রছাত্রী কিংবা সাধারণ মানুষকে এইসব দেখিয়ে তিনি যেমন একদিকে আনন্দ পান তেমনই তাঁর সংরক্ষণের নেশা অবসরযাপনে সহায়তা করে।
আরও পড়ুনঃ বড়দিনের বাজারে বড় চমক! গাড়ি-বাড়ি থেকে কার্টুন কেক, রঘুনাথপুরের দোকানে হু হু করে বিক্রি
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ২ ব্লকের জাহালদা এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কানাইলাল জানা। স্কুলজীবন এবং শিক্ষকতা জীবনে এই সকল জিনিস সংরক্ষণ করেছেন তিনি। এক এক করে সেই সংখ্যাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বেশ কয়েকশো। তালপাতার পুঁথি থেকে প্রাচীন নানা সামগ্রী সংরক্ষণ করে নিজের বাড়িতেই সাজিয়ে রেখেছেন কানাইলালবাবু। বিনামূল্যে সাধারণ মানুষকে তা দেখান তিনি। প্রাচীন দিনের বাদ্যযন্ত্র নিয়ে গানও শোনান সকলকে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ঘুরে দেখতে পারেন এই মিউজিয়াম।
শিক্ষকতা জীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর নিজের একটা রুমকে আস্ত মিউজিয়ামে বানিয়ে তুলেছেন এই প্রাক্তন শিক্ষক। সেখানে প্রাচীন দিনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের জিনিস রয়েছে। বল্লম, নানা ছুরি, দোয়াত-কালি, বিভিন্ন বোতল, টর্চলাইট, পশুদের শিং দিয়ে তৈরি নানা ঘর সাজানোর জিনিস, বিভিন্ন ধরনের তালা, নানা ধরনের হারিকেন ল্যাম্প, প্রাচীন দিনে ব্যবহৃত গ্যাসলাইট থেকে বিভিন্ন লাইট, বিবর্তিত নানা ক্যামেরা, নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র এখানে রয়েছে। সেই সঙ্গেই আছে বিভিন্ন দেশের প্রায় শতাধিক কয়েন, নোট। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এক এক করে এইসব জিনিস সংরক্ষণ করেছেন কানাইলালবাবু। বাড়ির একটি ঘরে সেগুলি সাজিয়ে রেখেছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সব মিলিয়ে, শখের মধ্য দিয়ে অবসর যাপন করছেন এই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও নিজের এই ছোট্ট মিউজিয়ামে তিনি যেন মানসিক প্রশান্তি পান। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় প্রাক্তন শিক্ষকের বাড়ির এই মিউজিয়াম।





