কাজ শুরু হওয়ায় গ্রামের মানুষের মুখে ফুটেছে হাসি। আতঙ্কের স্থানে জায়গা নিয়েছে প্রত্যাশা। প্রশাসনের নির্দেশে নদীর পাড় জুড়ে চলছে বাঁধ শক্ত করার কাজ। মাটি ফেলা, বাঁধের উচ্চতা বাড়ানো, দুর্বল জায়গাগুলোকে শক্ত করে বেঁধে দেওয়া, সবকিছুই চলছে দ্রুত গতিতে। বর্ষা শুরুর আগেই যাতে এলাকা পুরোপুরি নিরাপদ হয়, সেই লক্ষ্যেই কাজের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
advertisement
গ্রামের প্রবীণ থেকে শুরু করে যুবক-যুবতী সকলেই বলছেন, “এবার অন্তত ভয়ের মধ্যে থাকতে হবে না। এতদিন বর্ষার সময় রাত জেগে থাকতে হতো। এবার মনে হচ্ছে সত্যিই সমাধান হবে।” অনেকেই আরও জানিয়েছেন, প্রতিবছর নদী ভাঙনের আশঙ্কায় চাষের কাজে বিনিয়োগ করতে ভয় পেতেন। কিন্তু বাঁধের কাজ শুরু হওয়ায় কৃষিকাজের উপরও নতুন আশার আলো দেখা দিয়েছে।
মনোহরপুর এলাকার বাসিন্দাদের মতে, এখন যে কাজ চলছে তা সম্পূর্ণ হলে এলাকার দীর্ঘদিনের সমস্যা অনেকটাই দূর হবে। স্কুল, কলেজে যাতায়াত, বাজার হাট, চাষাবাদ সবকিছুই হবে আরও নিরাপদ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মানুষের মুখে এখন একটাই কথা, “বর্ষা এলে জল নামবে ঠিকই, কিন্তু আর ভয়ের রাত কাটাতে হবে না।” প্রশাসনের উদ্যোগে নদী বাঁধ নির্মাণ যে গ্রামবাসীর জীবনে আশার সঞ্চার করেছে, তা স্পষ্ট তাদের স্বস্তি আর উচ্ছ্বাসে। দীর্ঘদিনের আতঙ্ক কাটিয়ে মনোহরপুর এক ও দুই নম্বর গ্রাম আজ সামনে দেখছে নতুন ভবিষ্যৎ একটি নিরাপদ, সুরক্ষিত বর্ষার দিনগুলোর প্রতিশ্রুতি।





