ছেলে শারীরিকভাবে সক্ষম। বাড়িতে অসুস্থ শাশুড়ি। স্বামীর মৃত্যু হয়েছে প্রায় বছর দশেক হতে চলল। তবে স্বামীর মৃত্যুর পর গোটা সংসারের হাল ধরেছেন তিনি। ভরসা সেই হ্যান্ডলুম। লুমে শাড়ি বুনে চলে সংসারের খরচ। বিক্রি কমেছে, তাঁত বোনার জোরও কমে এসেছে শরীরে, তবুও প্রায় বছর তিরিশের পেশাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার শ্যামসুন্দরপুর এলাকার বাসিন্দা কল্পনা মণ্ডল। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরেই তাঁত বোনেন তিনি। স্বামীর সঙ্গে হাত লাগিয়ে দিতেন কাজে। একসময় বেশ রমরমা ছিল তাঁতের। গ্রামে ঢুকলেই খট খট শব্দ শোনা যেত। তবে সেই খটখটানি শব্দ নেই। তবুও গ্রামের মধ্যে হাতে গোনা দু’একজন তাঁত বোনে। যাদের মাঝে একজন এই বৃদ্ধ মহিলা।
advertisement
শরীরে তেমন জোর নেই, চোখেও কমে এসেছে দৃষ্টিশক্তি। সংসারের জোয়াল তার কাঁধে। সমাজের সব প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে একের পর এক বিপদকে সঙ্গী করে তিনি এগিয়ে চলেছেন আগামীর পথে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ওই বৃদ্ধার ভরসা কাঠের একটি হ্যান্ডলুম। কখনও কখনও সহযোগিতা করেন তার ছেলে। সামান্য আয় রোজগারে নুন ভাত খেয়েই দিন কাটে এই ছোট্ট সংসারে। প্রতিদিন কষ্ট হয় বৈকী তবুও সংসারের সব কাজ সামলে তাঁতে বসে পড়েন তিনি। কারণ এই তাঁত বুনলে রোজগার হবে তার। সংসারে আসবে খরচ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যে হ্যান্ডলুম সভ্যতার উন্নতিতে হারিয়ে যাচ্ছে, সেই হ্যান্ডলুমই সংসারের মেরুদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। লুমে কাপড় বুনে সংসার টানছেন তিনি। প্রতিদিন বেঁচে থাকার লড়াইয়ে এই বৃদ্ধ মহিলা সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত।