পুজোর সময় স্থানীয় মানুষ ছাড়াও জেলা ও ভিন জেলার দূরদূরান্তের মানুষও ভিড় জমায় ক্ষীরপাই বড়মার পুজোয়।সমস্ত রীতি মেনেই এখানে পুজো হয়।পুজোর পরের দিন হাজার হাজার মানুষ আসেন মায়ের খিচুড়ি প্রসাদ খাওয়ার জন্য। ২৩ বছর আগে শশ্মানের উপর বড়মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ওই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা শুদ্ধদেব রায়।প্রথমে মাটির চালায় প্রতিমা তৈরি করে পুজোর শুরু করেন প্রতিষ্ঠাতা শুদ্ধদেব রায়,যা ছোট মা নামেই ডাকা হয়।তবে বন্যা কবলিত এলাকা হওয়ায় একবার বন্যায় ছোট মায়ের মাটির চালা ডুবে গিয়ে মূর্তি ভেঙে যায়। যদিও মায়ের একটি ভাঙা হাত রয়ে গিয়েছিল যা এবারের বন্যায় তলিয়ে যায়।বন্যা মিটতেই ছোট মায়ের মন্দিরের সঙ্গে মুর্তি তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে।
advertisement
ছোট মায়ের পাশেই ৪৫ ফুট উচ্চতার কংক্রিটের মায়ের মুর্তি রয়েছে। সবার কাছেই তা ক্ষীরপাই বড়মা নামেই পরিচিত এই প্রতিমা।অমবস্যা তিথি ও কালীপুজোর সময় ছাড়া বড় মায়ের মন্দিরে থাকে না কোনও পূজারী। বিশেষ তিথি ছাড়াও প্রতিদিন বিভিন্ন প্রান্তের অগণিত মানুষ মায়ের দর্শনে আসেন। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের মতো করে মায়ের পুজো দিতে পারেন পুরোহিত ছাড়াই। ভক্তদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয় মন্দিরের পুজো অর্চনার কাজ।
আরও পড়ুন : ঐতিহ্যের গর্ব এবং গভীর ভক্তির আবেশে ভরপুর পুরুলিয়ার প্রাচীন ‘হিলা কালী পুজো’
এখানে কোনও আর্থিক সাহায্য করা বা দক্ষিণা দেওয়া যাবেনা যা বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মায়ের রুদ্র রূপের পাশাপাশি, ধরিত্রীর রক্ষাকর্তা ও শান্তির বাহক হিসেবে একহাতে পৃথিবী ও অপর হাতে পায়রা রয়েছে বলে জানা যায়। কালীপুজোর পরদিন বড়মায়ের মন্দিরে প্রসাদ খেতে হাজার দশেক ভক্ত সমাগম হয়ে থাকে বলে জানান মন্দিরে প্রতিষ্ঠাতা।