ভারত সরকারের ভারতমালা প্রকল্পের অধীনে এই রাস্তা বানাতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, সীমান্ত এলাকা বরাবর দীর্ঘ ৩১৮ কিমি রাস্তা তৈরি করতে জমি অধিগ্রহণের সে অর্থে সমস্যা হবে না। তবে কার্যত সীমানার গা ঘেঁষে নিয়ে যাওয়া এই সড়ক নির্মাণ ঘিরে একদিকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় অন্যদিকে আগামীদিনে ভারত বাংলাদেশ বৈদেশিক সম্পর্কের বিষয় আরও গভীর হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
advertisement
আরও পড়ুন: ব্যস্ত রাস্তায় তুমুল নাচ যুবতীর! উড়ল শাড়ি! ভাইরাল বঙ্গ তনয়ার ভিডিও
সীমান্তের গা ঘেঁষে হতে চলা এই রাস্তার ৩১২ নম্বর জাতীয় সড়ক হিসেবে নামকরণ হবে। এই সড়ক পথের মোট দৈর্ঘ্য হতে চলেছে ৩১৮ কিমি। চার লেনের হবে এই জাতীয় সড়ক। কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণের ওয়েবসাইটে এই সড়কের কাজ করতে চেয়ে নোটিফিকেশন ইস্যু করা হয়েছে।এই জাতীয় সড়ক শুরু হবে উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাট থেকে। সেখান থেকে যাবে বনগাঁ। বনগাঁ থেকে চলে যাবে কৃষ্ণনগর। সেখান থেকে চাপড়া। এরপর তেহট্ট হয়ে করিমপুর যাবে জাতীয় সড়ক। এরপর রাস্তা যাবে মূর্শিদাবাদ জেলায়। ডোমকল, বহরমপুর, মূর্শিদাবাদ, আজিমগঞ্জ, ভগবানগোলা, লালগোলা হয়ে রাস্তা চলে যাবে জঙ্গিপুর পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেও এই রাস্তা চালু নিয়ে একাধিক জায়গায় আলোচনা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সমস্যার কারণে এই কাজ করা যায়নি বলে মত জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। তবে এখন এই প্রস্তাবিত জাতীয় সড়ক নিয়ে যাওয়া হবে রাজ্য সড়কের সঙ্গে সংযোগ রেখে।
আরও পড়ুন: এমনও হয়! গুজরাতে তৈরি হল এমন এক রাস্তা, বদলে যেতে পারে সব ধ্যানধারণা!
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, "চার লেনের হতে চলেছে এই রাস্তা। ৯০ ফুট চওড়া হবে এই প্রস্তাবিত রাস্তা। ইতিমধ্যেই এই সড়কের ডিপিআর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে। সড়ক তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার। ৪৫০০ কোটি টাকা এই সড়ক তৈরিতে খরচ হবে বলে প্রাথমিক অনুমান।"
প্রসঙ্গত, এই রাস্তা তৈরি হয়ে গেলে একদিকে চাপ কমবে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে। অন্যদিকে সীমান্ত সুরক্ষায় আরও গতি আসবে।