অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ জন শিক্ষিকা অথচ একজনও ছাত্র-ছাত্রী নেই। শিক্ষকরা স্কুলে আসে বসে থাকে তারপর বাড়ি চলে যায় বেতন ও ঠিক সময় মত পেয়ে যায়। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ছাত্রছাত্রী কমতে কমতে এখন শূন্যে এসে দাঁড়িয়েছে। আর এই স্কুলে ছাত্রছাত্রী না আসায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরাও। রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার কলকাতা লাগোয়া ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের এই প্রাথমিক স্কুলটি এখন ভগ্ন দশা অবস্থায়।
advertisement
আরও পড়ুন: আর কি ইলিশ মিলবে না? বাঙালির পাতে আর পড়বে না রূপোলি শস্য! চিন্তায় সকলে, কী ঘটল আসলে?
এমনকী যাত্রাপালার রিয়ার্সালের জন্য স্টেজ ও করা রয়েছে স্কুলের এক কক্ষে। এছাড়াও খাওয়া-দাওয়ার জন্য সেখানে তৈরি করা হয়েছে একটি অস্থায়ী কাঠের চুলো। গোটা স্কুল জুড়ে ভর্তি হয়ে রয়েছে আগাছায়, যার ফলে বাড়ছে সাপের উপদ্রব।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তিনি জানান, এবছর অর্থাৎ ২০২৪ এর জানুয়ারি মাস থেকে একেবারে শূন্য হয়ে গেছে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা। প্রাইমারি স্কুল ম্যানেজমেন্টকে এই স্কুলের বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। পাশাপাশি এই স্কুলের সভাপতি তিনি বলেন, আশেপাশে প্রাইমারি স্কুলের সাথে হাই স্কুল একসঙ্গেথাকায় তারা সেখানেই চলে যাচ্ছে।
এই অবস্থায় প্রাইমারি স্কুল কর্তৃপক্ষ কেন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না? কারণ একসময় গমগম করে চলা স্কুল এখন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা শূন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাহলে কি এখন এই স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেওয়া হবে, নাকি এই স্কুলকে আবার নতুন করে গড়ে তোলার চেষ্টা চালাবে প্রাইমারি স্কুল কর্তৃপক্ষ? এই প্রশ্নই এখন এলাকার সাধারণ মানুষদের।
— সুমন সাহা