কেন্দ্রের সুপারিশ মেনেই অপচয় হওয়া এই টাকার ৩৬ শতাংশই আদায় করে ফেলেছে। তারপরও চলতি আর্থিক বছরের সাড়ে সাত মাস কেটে গেলেও একশো দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্প সহ সমস্ত প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মেলেনি। এনিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দীর্ঘ চাপানউতোরের পর প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার বরাদ্দ আদায় করতে সক্ষম হয়েছে রাজ্য। এবার একশো দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের বরাদ্দ আদায়ে সক্রিয় হল রাজ্য।
advertisement
রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, "গত আর্থিক বছরে রাজ্যে একশো দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে শ্রম দিবস তৈরি হয়েছিল ৩৬ কোটি ৪২ লক্ষ। এর মধ্যে ত্রুটি ধরা পড়েছে মাত্র ১ লক্ষ ১৬ হাজারের কিছু বেশি ক্ষেত্রে। মাত্র .০৩২ শতাংশ। সামান্য এই ভুলের জন্য সারা রাজ্যের মানুষকে কেন শাস্তির মুখে ফেলা হবে। আমরা তদন্তে দেখেছি কেন্দ্রের যুক্তি মতো অনিয়ম মানে পদ্ধতিগত ত্রুটিগুলি। বাস্তবে কিন্তু কাজ হয়েছে। রাজ্যে গত কয়েক বছরে আম্ফান ,ইয়াস সহ একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছে।"
lতিনি আরও বলেন, "শীতে বৃষ্টি হয়ে ফসলের ক্ষতি করেছে। ফলে বহু সময় দুর্যোগ মোকাবিলায় কৃষি জমি থেকে দ্রুত জল ছাড়তে এই প্রকল্পকে ব্যবহার করা হয়। যা একশো দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের শর্তে নেই। তাই ত্রুটি হতে পারে। সেই অজুহাত দেখিয়ে রাজ্যের সমস্ত গ্রামীণ প্রকল্পের বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়া যায় না।"
আরও পড়ুন, আগাছা পরিষ্কার করতে গিয়ে 'গায়েব' গোটা স্কুল! মারাত্মক অভিযোগ বর্ধমানে
প্রদীপবাবু জানান, "বিষয়টি নিষ্পত্তি হলেই কেন্দ্রের কাছে এই ধরনের দুর্যোগের সময় গ্রামীণ এলাকা পুর্নগঠনের কাজে একশো দিনের কর্মসংস্থান প্রকল্পকে যুক্ত করার জন্য আবেদন জানাবো।" তাঁর মতে, কাজ করেও রাজ্যের মানুষের এই প্রকল্পে ৬ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা মজুরি আটকে রয়েছে গত ডিসেম্বর থেকে। আইন মাফিক যেখানে কেন্দ্র এই টাকা আটকে রাখতে পারে না।
আরও পড়ুন, তৃণমূলকে হারাতে মহাজোট চান মহাগুরু! পত্রপাঠ খারিজ সিপিএমের, জবাব দিলেন কুণাল
যদিও সাম্প্রতিক সময় কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক প্রকল্পে টাকা ছেড়ে দেওয়ায় ১০০ দিনের গ্রামীন কর্মসংস্থান প্রকল্পেও কেন্দ্র খুব শীঘ্রই টাকা ছেড়ে দেবে বলেই আশা করছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর।