মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি প্রার্থীরা বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে, তাঁদের সঙ্গ দেন শুভেন্দু-সহ অন্যান্য স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা৷ তার আগে নন্দীগ্রামের ঠাকুরচক সংলগ্ন এলাকা থেকে মহামিছিলের নেতৃত্ব দেন নন্দীগ্রামের।
আরও পড়ুন: ৪ লাখ টাকায় ঝাড়ুদারের চাকরি, ৬ লাখেই ইঞ্জিনিয়ার! এবার ‘ফাঁস’ পুর নিয়োগের রেট-চার্ট
advertisement
শুভেন্দুর কথায়, ‘‘ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের দিন যদি পুলিশ আর তৃণমূলীরা ভোট লুট করার পরিকল্পনা করে, তাহলে প্রতিরোধ আরও জোরদার হবে। যদি অবাধ ভোট হয় তাহলে শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম নয়, সব জায়গাতেই তৃণমূল প্রার্থীরা হারবে। পঞ্চায়েতে যে দুর্নীতি করেছে শাসকদল তাতে ওদের সঙ্গে জনগণ নেই, আছে শুধু পুলিশ।’’
নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করে শুভেন্দু অধিকারী আগেই বলেছিলেন, ‘‘গণতান্ত্রিকভাবে আছার দেওয়া হবে তৃণমূলকে। ১৭ টা গ্রাম পঞ্চায়েতে ১২টাতে বিজেপি বোর্ড গড়বে আর বাকি পাঁচটাতে ত্রিশঙ্কু করব। পরে বোর্ড করব। দুটো পঞ্চায়েত সমিতি জিতব, জেলা পরিষদও জিতব।’’ এদিনও নিজের সেই বক্তব্যে অনড় থাকেন শুভেন্দু।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু এ-ও বলেন, ‘‘গ্রাম বাংলার মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার যদি প্রয়োগ করতে পারেন, তাহলে নন্দীগ্রামের মতো অন্যত্রও তৃণমূল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।’’
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী