এদিন, এ নিয়ে নওশাদের দলের উদ্দেশ্যেই একের পর এক তোপ দাগলেন শওকত মোল্লা৷ নওশাদের বিরুদ্ধে উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ এনে শওকত বলেন, ‘‘ভাঙড় বিধানসভা তিন থানা আছে। ওঁকে যেখানে আটকেছে সেখানে আমরা গতকাল যাইনি৷ ভাঙড়কে উত্তপ্ত করতে যাওয়া ওঁর উদ্দেশ্য। আজ যাচ্ছে উস্কানি দেওয়া, গ্রাম রক্তাক্ত করার মানসিকতা নিয়ে৷ এটাই ওঁর প্রধান কাজ।’’
advertisement
আরও পড়ুন: বিধায়ককে কষিয়ে চড়! রাগে-ক্ষোভে বিস্ফোরক মহিলা, সোশ্যাল মিডিয়ায় হুহু করে ভাইরাল ভিডিও
এছাড়া, নিখোঁজ আইএসএফ কর্মী জাহানারা খাতুনকে নিয়েও মন্তব্য করেন শওকত৷ তাঁর কথায়, ‘‘জাহানারা বিবি শুনেছি দিঘায় আছে। পুলিশ কথা বলেছে শুনলাম। আর হারা লোককে কেন নিয়ে যেতে যাব?’’
এখানেই শেষ নয়, নওশাদ সিদ্দিকি ও শুভেন্দু অধিকারীকে একই বন্ধনীতে এনে শওকতের মন্তব্য, ‘‘নওশাদ আর শুভেন্দু এক কথা বলছে। আমাকে কাল হুমকি দিল। নওশাদ ভাবুন সময় আর বেশি নেই। হাতে আর তিন বছর সময়। মানুষ শূন্য করে বাড়ি পাঠাবে। আমাদের কর্মীদের সার্টিফিকেট কেড়ে নিয়েছে। রকেট, গ্রেনেড, বন্দুক বানাচ্ছে। সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া করছে। নকশালরা ঢুকছে৷ রাস্তা কাটছে। গাছের গুঁড়ি ফেলে রেখেছে।’’
আরও পড়ুন: দফায় দফায় উত্তেজনা! অশান্তি ঠেকাতে ড্রোনে নজরদারি, মাইকিং সমশেরগঞ্জে
এরপরেই ভাঙড়ের তিন রাজনৈতিক কর্মী খুনে সিট তদন্ত করে তদন্তের দাবি করেন শওকত৷ তাঁর দাবি, ‘‘তিন খুনের জন্য সিট গঠিত হোক। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি। আনিস খানের কেসে সিট হলে, এটা কেন হবে না? হ্যান্ড গ্রেনেড কারা ব্যবহার করে? বাংলার মস্তানরা ব্যবহার করে না। নকশালরা ব্যবহার করে। কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে ওখানে। তাণ্ডব করছে তারপরেও ওরা৷ সিট গঠন করুক। কোন রং না দেখে প্রশাসন দেখুক।’’
তৃণমূল নেতার দাবি, ভোটের সময় র্যাফের লোকেদের তুলে নিয়ে গিয়েছিল আইএসএফ। জঙ্গলমহলের কায়দায় নাকি তাঁদের অপহরণ করা হয়েছিল। গোটা ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলেন শওকত।