২০১৮ সালে পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রায় ২৮% শতাংশ আসনে বিরোধী কোনও প্রার্থী ছিল না। যে ৭২% আসনে প্রার্থী ছিল, তার মধ্যে একটা বড় অংশই ছিল দলের ‘গোঁজ’ প্রার্থী। বিশেষ করে মেমারি, ভাতার ও রায়নায় নির্দল প্রার্থীরা সংখ্যায় বেশি ছিল।
তবে এবার নবজোয়ার কর্মসূচিতে বেরিয়ে একাধিক ব্লকে ঘুরেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সামনে এসেছে বেশ কিছু ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথাও৷ এর পাশাপাশি মেমারি ১, মেমারি ২ ব্লক, রায়না ১ ব্লক, পূর্বস্থলী উত্তর, খন্ডঘোষ, জামালপুর-সহ বেশকিছু ব্লকেই তৃণমূল কংগ্রেসের কোন্দল এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘টাস্কফোর্স চলে গেলেই ফের…’, সব্জির আগুন দাম নিয়ে বিস্ফোরক খুচরো ব্যবসায়ীরা! মাথায় হাত
মাসখানেক আগেই মন্তেশ্বরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রীর সঙ্গে মেমারি ২ ব্লকের প্রাক্তন ব্লক সভাপতির গোষ্ঠী কোন্দল এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, জেলা নেতৃত্ব নাজেহাল হয়ে যায় সেই কোন্দল থামাতে। এমনকি, ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় জেলা পুলিশ সুপারকেও একহাত নেন ওই মন্ত্রী। তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরা যাতে মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেন সেই বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। আবার প্রচারে বেরিয়ে ভাতারের বিধায়ককে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছিল।
যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কেউ জট পাকিয়ে দলকে সমস্যার মুখে ফেলবে, সেটা কিন্তু দল মেনে নেবে না। প্রয়োজনে তাঁকে সরিয়ে দিয়ে নতুন কোন মুখকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া, তিনি নিজে প্রতি তিনমাস অন্তর দলের পর্যালোচনা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে আজ ফের পূর্ব বর্ধমানে অভিষেক। অভিষেকের এই তৎপরতায় কতটা প্রভাব পড়বে ভোট বাক্সে? সেটা অবশ্য বলবে সময়৷