অভিযুক্ত কনস্টেবল দীর্ঘদিন ধরেই নিউটাউনের সাপুরজি এলাকায় এইভাবে প্রতারণা করছিলেন বলে অভিযোগ। টেকনোসিটি থানায় একাধিক মহিলা অভিযোগ দায়ের করলে, পুলিশ তদন্তে নেমে অবশেষে অভিযুক্ত কনস্টেবলকে নিউটাউন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এদিন তাকে বারাসাত মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতারক কনস্টেবল বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আবার কাউকে জমি বা গাড়ি কিনে দেওয়ার নাম করে বিশাল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেছে টেকনোসিটি থানার পুলিশ। মহিলা জানান, ”মোহাম্মদ নিসাদ আলীর সঙ্গে আমার পরিচয় হয় একটি ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট থেকে। ২০২০ সালে তখন সে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন এবং বিয়েও করেন। নিশাদ আলী কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে ও আমি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে কর্মরত আর নিশাদ আলীর আগের পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা চলছিল। তাই কোর্ট ম্যারেজ না করে শরীয়ত মতে বিয়ে করে তিন বছর বাড়িতে রাখে ওর শ্যামপুর বজবজ নারকেলডাঙ্গা এই তিন জায়গায় বাড়ি, ওর মা বাবা বোন এর সঙ্গেই আমার সংসার সেটা পুরোটাই এখন অস্বীকার করছে। ও আমার থেকে ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিল সেটার কোর্ট পেপার ও আমার কাছে রয়েছে।”
মহিলার আরও অভিযোগ, ”সেই টাকাটা আমায় দিচ্ছে না। আমার আলিপুর কোর্টে কেস চলছে বজবজ থানায় এফআইআর নেয়নি এক বছর হয়ে গেলেও। আমি চাই ও আমার পাঁচ বছর নষ্ট করেছে, টাকাটা তো গেছেই, ভবিষ্যতে ও আরও এরকম বহু মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করবে। যদি সঠিক বিচার ওর না হয়, তাই আমি বিচার চাই। আমরা এখানে থানায় এসেছি তিনজন, আরও বহু মেয়ে এরকম প্রতারিত হতে পারে। আইন-শৃঙ্খলার উপর পূর্ণ আস্থা রেখে ওর সঠিক বিচার ও উপযুক্ত শাস্তি চাইছি।”
—- Subha Dhali