শুক্রবার রাতে নওপার চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আর এস পির জয়ী প্রার্থী কাবারুল মণ্ডল ও কংগ্রেসের জয়ী দুই প্রার্থী আবদুর রব শেখ বানিরুল মালিতাকে বহরমপুরের একটি হোটেল থেকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে। খবর পাওয়া মাত্র বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে।
advertisement
প্রতিবাদে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরিবারের অভিযোগ ভয় দেখিয়ে অপহরন করে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে। তারপর শনিবার সকালে দেখা যায় নওদায় তৃণমূলের দলীয় অফিসে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শফিউজ্জামান শেখের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করছেন ওই তিন জয়ী প্রার্থী।
যোগদানকারীরা জানান, তাঁদের অপহরণ করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে সামিল হতে স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগদান করছেন। প্রসঙ্গত কয়েকদিনের মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন। এই চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ২০টি। আর এস পি ও কংগ্রেসের ৩জয়ী প্রার্থী তৃণমূলের যোগদান করায়। তৃণমূলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২। নওদা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শফিউজ্জামান সেখ। বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হয়ে তৃণমূলের যোগদান করেছেন। কংগ্রেস অপহরণের মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
আরও পড়ুন : জালে উঠল ৩ কেজির বিরাট ইলিশ! দাম উঠল কত? শুনলেই চক্ষুছানাবড়া
কংগ্রেস নেতা মোশারফ হোসেন বলেন, ওই তিন জয়ী প্রার্থীকে বহরমপুরের একটি হোটেল থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেছে অপহরণের মুহূর্ত ধরা পড়েছে। বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তৃণমূলের এই দুর্নীতি বেশিদিন টিকবে না। পাশাপাশি নওদার রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত সর্বাঙ্গপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং কেদারচাদপুর ২নং অঞ্চলের সিপিআইএম কংগ্রেস বিজেপি থেকে জয়ী প্রার্থীরা নওদার ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ে ব্লক সভাপতি শফিউজ্জামান সেখের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন।