আরও পড়ুন: বিধিনিষেধ উধাও! লোকাল ট্রেনে ৫০ শতাংশ যাত্রী? 'হাস্যকর' বলছেন নিত্যযাত্রীরা...
বর্ধমান স্টেশনে (Burdwan News) যাত্রীরা যাতায়াত করেন মূলত ফুট ওভারব্রিজের মাধ্যমে। সেই ফুট ওভারব্রিজে ওঠার সিঁড়ি গুলিতে ভিড় নতুন ঘটনা নয় (West Bengal News)। প্রতিদিনই অফিস টাইমে এই সিঁড়িগুলিতে ঠাসাঠাসি ভিড় লক্ষ্য করা যায়। অথচ এই করোনার সময় সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণে (Covid Restrictions Bengal কেন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীদের অনেকেই।
advertisement
যাত্রীদের কথায়, করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে ট্রেনে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রাখার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার (Covid Restrictions Bengal)। অথচ সিঁড়িতে ভিড় এড়াতে কোনও পদক্ষেপই করছে না রেল কর্তৃপক্ষ (Indian Railways)। যাত্রীদের অভিযোগ, স্টেশনে একাধিক স্বয়ংক্রিয় এস্কেলেটর থাকলেও তা বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। তার ফলে প্লাটফর্মে নামার সিঁড়ি ব্যবহার করতে বাধ্য হন যাত্রীরা।
ট্রেন প্লাটফর্মে এসে ঢুকলে এক সঙ্গে কয়েক হাজার যাত্রী যেমন বাইরে বেরোনোর জন্য এই সিঁড়ি গুলি ব্যবহার করেন ঠিক তেমনই ওভারব্রিজে অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা ট্রেন ধরার জন্য সেই সিঁড়ি দিয়ে নামতে চান (Burdwan News)। তার ফলেই প্রচন্ড ভিড়ের সৃষ্টি হয়। ইচ্ছা থাকলেও যাত্রীদের অনেকেই সে সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন না। তা থেকেই করোনার সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা।
আরও পড়ুন: থিকথিকে ভিড় লোকালে! ট্রেনে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রাখার সরকারি নির্দেশ মানছে কে?
যাত্রীরা বলছেন, সব সময় এস্কেলেটর গুলি চালু রাখা ব্যাপারে নজর দিক স্টেশন কর্তৃপক্ষ (West Bengal News)। সেই সঙ্গে আরও এস্কেলেটর বসানোর যে পরিকল্পনা রয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়িত করা হোক। তার পাশাপাশি ট্রেন চলাচলের খবর পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে একটু আগে থেকে জানানো হোক। কোন প্লাটফর্ম থেকে কোন লোকাল বা এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়বে তা আগে থেকে জানানো হলে যাত্রীরা ফুট ওভার ব্রিজে অপেক্ষায় না থেকে অনেক আগেই সিঁড়ি ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট প্লাটফর্মে পৌঁছে যেতে পারবেন। তাতে কিছুটা ভিড় এড়ানো সম্ভব হবে।
এর পাশাপাশি ভিড় যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে রেল পুলিশের তৎপরতা জরুরি বলেও মনে করছেন যাত্রীরা। অতীতে বর্ধমান রেল স্টেশনে সিঁড়িতে ওঠা নামার সময় ভিড়ের কারণে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় ঘটেছে। এক সঙ্গে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তা থেকেও রেল শিক্ষা নেয়নি বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। তাঁরা বলছেন, সেই ঘটনা আবারও ঘটতে পারে। কিন্তু এখন করোনার সংক্রমণ এড়াতে ভিড় যাতে না হয় তা দেখা আশু প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।