Bengal Local Train: বিধিনিষেধ উধাও! লোকাল ট্রেনে ৫০ শতাংশ যাত্রী? 'হাস্যকর' বলছেন নিত্যযাত্রীরা...
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Bengal Local Train: ঠাসাঠাসি ভিড়ের মাঝেই লোকাল ট্রেনে চলছে ঝুঁকির যাত্রা। সরকারি নির্দেশ কার্যত উধাও স্টেশনে স্টেশনের অফিস টাইমের ভিড়ে।
রাজ্যে সোমবার থেকেই লাগু হয়েছে নয়া করোনা বিধিনিষেধ। করোনার বাড়বাড়ন্তের মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের নির্ধেশ মেনে ভোর ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা নিয়ন্ত্রিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে পরিষেবা চালু রাখার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তব ছবিটা ছিল অন্যরকম। সোমবারের অফিস টাইমে সকাল থেকেই প্রায় স্বাভাবিক ছন্দে চলছে শিয়ালদহ - কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, শান্তিপুর, গেদে, বনগাঁ থেকে বারাসাত সব শাখার লোকাল ট্রেন।
advertisement
কার্যত ঠাসাঠাসি ভিড়ের মাঝেই লোকাল ট্রেনে চলছে ঝুঁকির যাত্রা। সরকারি নির্দেশ কার্যত উধাও স্টেশনে স্টেশনের অফিস টাইমের ভিড়ে। ট্রেন না বাড়লে এই অবস্থা চলবে এমনটাই মনে করছেন যাত্রীরা। ভিড়ের মাঝে শিকেয় উঠেছে ন্যূনতম কোভিড বিধি। এমনই আশংকার ছবি দেখা গেল সোমবার রাজ্যে ফের কড়া বিধিনিষেধ চালু হওয়ার প্রথম দিনেই।
advertisement
গতকাল নবান্ন থেকে জারি কড়া সরকারি নির্দেশ একপ্রকার উধাও ছিল বারাসাত স্টেশনের হাসনাবাদ শিয়ালদা বা বনগাঁ শিয়ালদা সমস্ত ট্রেনগুলিতেই। বাদুড়ঝোলা ভিড় চোখে পড়েছে সর্বত্র। বেশিরভাগ মানুষেরই সঙ্গে মাস্ক আছে, কিন্তু কারও গলায় তো কারও মাক্স থুতনিতে। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল করানোর কথা থাকলেও সমস্ত ট্রেনে উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়েছে এদিন সকালে।
advertisement
advertisement
৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চালানো সম্ভব নয় বলেই মতামত রেলযাত্রীদের। সকাল থেকেই শিয়ালদা দক্ষিণ শাখা প্রত্যেকটি লোকাল ট্রেনে ব্যাপক ভিড়। অন্যান্য দিনের মতোই লোকাল ট্রেন গুলিতে বের হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। তাছাড়া তাদের অভিযোগ লোকাল ট্রেনে ৫০ শতাংশ যাত্রী রয়েছে এমন দেখার মত কোন পরিকাঠামো নেই কোন স্টেশনে এমনকি ট্রেন চলাকালীনও।
advertisement
তবে সন্ধে সাতটায় লোকাল ট্রেন বন্ধ নিয়ে ক্ষোভ রেলযাত্রীদের। শপিংমল সিনেমাহল রাত্রি 10 টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও কি করে তারা বাড়ি ফিরবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শপিংমলের কর্মীরা। অভিযোগ, সরকারি কর্মীদের সন্ধে সাতটায় ছুটি হওয়ার পর তারা কিভাবে বাড়ি ফিরবেন। সরকারি এই সিদ্ধান্তের ফলে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ থেকে আরম্ভ করে মধ্যবিত্তরা ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়বে বলে জানিয়েছেন রেলযাত্রীদের একাংশ।