এখন পর্যন্ত আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় প্রায় ১ হাজার ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। তার মধ্যে দুর্গাপুর মহকুমাতে প্রায় ৬০০ ক্যামেরা রয়েছে। নতুন করে ২৫১টি সি সি ক্যামেরা লাগানোর জন্য তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে মোট ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কীর্তি আজাদ।
advertisement
এ ব্যাপারে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কীর্তি আজাদ বলেন, “যে কোনো সভ্য সমাজের প্রথম ও প্রধান অগ্রাধিকার হলো তার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। শুরু থেকেই জননিরাপত্তার কাজে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসা হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দুর্গাপুরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়াতে একটি আধুনিক ও বিস্তৃত সিসিটিভি ক্যামেরা সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: চিকেন নেক ছাড়াই কলকাতার সঙ্গে উত্তর-পূর্ব জুড়তে বড় ছক ভারতের, বোতলবন্দি হবে বাংলাদেশ?
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে কোক ওভেন থানা এলাকায় ৬৭টি ক্যামেরা, দুর্গাপুর থানা এলাকায় ৮০টি ক্যামেরা, কাঁকসা থানা এলাকায় ৬২টি ক্যামেরা, এনটিএস থানা এলাকায় ৩০টি ক্যামেরা, বুদবুদ থানা এলাকায় ১২টি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে মোট ক্যামেরার সংখ্যা ২৫১টি। এজন্য মোট ৩০ লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরে একটি সি সি টিভি কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে দিনভর লাইভ ফিড দেখতে পাওয়া যাবে। এর ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার অনেক সুবিধা হবে। খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। অনেক অপরাধমূলক কাজ চিহ্নিত করা সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সাংসদ কীর্তি আজাদ বলেন, “আমার দাদা ১৯৭৫ সালের মধ্যপ্রদেশে ক্যাডারের আইপিএস অফিসার ছিলেন। তাঁর কাছে পুলিশের অনেক গল্প শুনেছি। আজ আমি দুর্গাপুরে পুলিশের পাশে দাঁড়াতে পেরে গর্ব অনুভব করছি।”