গাড়ি চালক পিয়ারিলাল গুপ্তা গলসি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তদন্তে নেমে গলসি থানার পুলিশ কলকাতা ও হুগলির সিঙ্গুর থানার আজমনগরের সেই পাম্পে যায়। যেখান থেকে তেল ভরা হয়েছিল। বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি যে পেমেন্ট অ্যাপের সাহায্যে যে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা দেওয়া হয়েছিল সেটিরও তথ্য জোগার করা হয়। পেট্রল পাম্পের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও পরে বিভিন্ন এলাকার জাতীয় সড়কের আশপাশের হোটেলের ফুটেজ সংগ্রহ করে।
advertisement
আরও পড়ুন: ভোটের আগে দুর্নীতির অভিযোগ, ফল বেরোতেই সরকার গঠনে তাদের পাশেই বিজেপি!
সেই সূত্র ধরেই আসানসোল স্টেশনে বালিয়া-শিয়ালদহ এক্সপ্রেসের সংরক্ষিত কামরা থেকে আরপিএফের সাহায্য প্রভাত কুমার নামে এক যুবক কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিহারের বৈশালি জেলার রাজাপাকড় থানার শেখপুরায় তার বাড়ি। তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ধৃতকে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেবার আবেদন জানালে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করে। ধৃত কে নিজেদের হেফাজতে নিয়েই গলসি থানার একটি টিম বিহারের উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেয়। মজাফরপুর জেলার সারিয়া থানার সাহায্যে পুলিশ সুরজ কুমার নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের কাছ থেকে চুরি যাওয়া সুইফট ডিজায়ার গাড়িটিও উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রে হারলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, কংগ্রেসের বাজিমাত
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ট্রাভেল সংস্থাকে ফোন করে ১৯ ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুরে যাওয়ার জন্য গাড়ি চাওয়া হয়। সংস্থার গাড়ি চালক পিয়ারিলাল গুপ্তা টেগর পার্কের কাছ থেকে রাত ১২টা নাগাদ চারজন যুবককে নিয়ে দুর্গাপুরের দিকে রওনা দেন। তিনজন বসে পিছনে সিটে। একজন ছিল চালকের পাশের সিটে। যুবকদের বয়স ২০-২৫ এর মধ্যে। ডানকুনি টোলপ্লাজার কাছে তারা একটি পাম্প থেকে গাড়িতে পেট্রল ভরা হয়। সেই পাম্পে তেলের ২ হাজার টাকা যুবকদের মধ্যে একজন অ্যাপের মাধ্যমে মেটায়।
এরপরে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে গাড়িটি গলসির পারাজ স্টেশন মোড়ে একটি হোটেলের কাছাকাছি এলে পিছনে বসা এক যুবক চালককে বমি পেয়েছে বলে গাড়ি দাঁড় করাতে বলে। চালক পিয়ারিলাল গাড়ি দাঁড় করালে গাড়ি থেকে দু’জন নেমে যায়। কিছুক্ষণ পরে সামনে থাকা যুবক চালকের কাছ থেকে গাড়ির চাবি কেড়ে নেয়। অপরজন বন্দুক ঠেকিয়ে পিয়ারিলাল কে গাড়ি থেকে নামতে বলে। ভয়ে পিয়ারিলাল গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। তার মোবাইল নিয়ে ওই চারজন গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।