বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, ডাউন দানাপুর এক্সপ্রেসে প্রচুর সংখ্যক টিয়া পাখি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে গোপন সূত্র মারফত খবর এসেছিল। সেই খবরের ভিত্তিতেই অভিযান চালান হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সোনামনির বে নয়! তবে হাতি নাচছে ঘাড় নেরে! মূহুর্তে ভাইরাল ভিডিও
advertisement
বর্ধমান স্টেশনে ডাউন দানাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি দাঁড়াতেই রেল পুলিশের উপস্থিতিতে তল্লাশি শুরু করে বনসদপ্তরের কর্মীরা। ট্রেন থেকে ব্যাগ সমেত ২ জনকে নামতে দেখে সন্দেহ হয়। ব্যাগ খুলে তল্লাশি চালান তারা।ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ১৮২ টি টিয়াপাখি। গ্রেপ্তার করা হয় ওই দু'জনকে। বন দফতর সূত্রে জানা গেছে ধৃত মহম্মদ আয়ুব ও ইব্রাহিম শেখের বাড়ি বর্ধমানের দুবরাজদিঘির আলুডাঙ্গা এলাকায়।
আরও পড়ুন: স্নানের দৃশ্য ভাইরাল কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য! প্রেমিকের ব্ল্যাকমেল? জেরা চণ্ডীগড় পুলিশের
বিহারের দানাপুর থেকে টিয়াপাখি গুলি বর্ধমানে নিয়ে আসার পর সেগুলিকে আবার অন্যত্র পাঠানো হত বলে বন দপ্তরের অনুমান। ধৃতদের আজ বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। বন দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, "গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে রবিবার সকালে ডাউন দানাপুর এক্সপ্রেস থেকে বর্ধমান স্টেশনে বন দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীরা অভিযান চালিয়ে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা ১৮২টি দেশি টিয়া পাখি উদ্ধার করেছে। দুটি খাঁচায় এই টিয়া গুলোকে নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। বন দপ্তরের কর্মীরা পাখি পাচারের সঙ্গে যুক্ত দুজন পাচরকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত দুজনের নাম মহাম্মদ আয়ুব ও ইব্রাহিম শেখ। এদের বাড়ি বর্ধমানের দুবরাজদীঘি আলুডাঙ্গা এলাকায়।"
বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ধৃতরা দীর্ঘদিন ধরেই এই পাখি পাচারের কাজের সঙ্গে যুক্ত। ধৃতদের কাছ থেকে বন দপ্তর জানতে পেরেছে দানাপুর থেকে এই পাখিগুলোকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। এদিন পাখি উদ্ধারের পর সেগুলোকে রমনাবাগান মিনি জু'তে নিয়ে আসা হয়। পাখিগুলোর মুখ খুলে দেওয়া হয়। বন দপ্তরের রেঞ্জ অফিসার কাজল বিশ্বাস বলেন, পখিগুলোর প্রাথমিক চিকিৎসার পর প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হবে। ধৃত দুই ব্যক্তিকে এদিনই বন্য প্রাণ সংরক্ষণ আইনের ধারায় গ্রেফতার করে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়েছে।