জানা গিয়েছে, ৬ মাস আগে ভিন রাজ্য থেকে ভিকি ঠাকুর নামে বছর ২৭-এর ওই যুবক নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও ছেলের কোনও সন্ধান পাননি। এদিক সেদিক ঘুরতে ঘুরতে কোনওভাবে বকখালি চলে আসেন তিনি। দিন দশেক আগে ফ্রেজারগঞ্জের মনসাতলা বাস স্ট্যান্ডের কাছে একটি দোকানে খাবার চাইতে আসেন ওই যুবক। এই দোকানের মালিকই হলেন প্রদীপ দাস।
advertisement
আরও পড়ুন: বক্সার পর জয়ন্তী, এবার কলকাতার পর্যটক দেখতে পেলেন 'সেই' পায়ের ছাপ!
কিন্তু তখনও ওই যুবকের ব্যাপারে তিনি কিছু জানতেন না। খাবার দিয়ে তাঁর সঙ্গে নানা কথাবার্তা বলতে শুরু করেন ওই ব্যবসায়ী। কিন্তু প্রথমে কোনও কথাই তিনি বলতে চাইছিলেন না বলে জানান প্রদীপবাবু। তিনি বলেন, ''অনেক ভাবে চেষ্টা করে বুঝতে পারি, কোনওভাবে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছে। এরপর কায়দা করে ওর কাছ থেকে নাম, ঠিকানা জানার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। শুধু দু’টি ফোন নম্বর দিতে পেরেছে মাত্র। এদিকে, এই নম্বরে ফোন করলে বন্ধ বলছিল। শেষমেশ তাতে হোয়াটসঅ্যাপ করে যুবকের ছবি পাঠিয়ে রেখেছিলাম।'' এই কদিন ভিকিকে নিজের কাছেই আশ্রয় দিয়েছিলেন প্রদীপবাবু।
আরও পড়ুন: চমকেই বাজিমাতের লক্ষ্য, কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের শেষ মুহূর্তের তারকা-টাচ!
শুক্রবার আচমকা যে নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করা হয়েছিল, সেখান থেকে ফোন আসে প্রদীপবাবুর মোবাইলে। ছবি চিনতে পেরে ওপার থেকে বলা হয়, যুবকের নাম ভিকি। তিনি মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। এরপরই তাঁর বাবার নম্বর ওই ব্যবসায়ীকে দেওয়া হয়। শনিবার ভিডিও কল করে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ভিকিকে দেখে চিনতে পারেন তাঁরা। ছেলেকে আনতে ওইদিন রাতেই রওনা দেন যুবকের বাবা। রবিবার দুপুরে বকখালি চলে আসেন তিনি। তাঁর হাতে ছেলেকে তুলে দিয়ে তৃপ্ত ওই ব্যবসায়ী।