বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের শাখায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহর জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। তবে কীভাবে নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে ভিতরে ঢুকল ডাকাত দল, তা ভেবেই আতঙ্কে কাঁটা হয়ে রয়েছেন উপস্থিত গ্রাহকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন জেলা পুলিশের পদস্থকর্তারা। সেখানে উপস্থিত সকলের সঙ্গে কথা বলছেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সকলের সঙ্গেও কথা বলবেন তারা। দিনে-দুপুরে এমন ঘটনায় আতঙ্কিত সকলেই।
advertisement
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়তে চাইলেন আরও দুই বিধায়ক, বিজেপি-তে ফের কাঁপুনি
জানা গিয়েছে, শুক্রবারে সকালে ঘড়ির কাঁটা সবে পৌনে দশটা পার করেছে। খুলে গিয়েছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের বর্ধমান শাখা। ব্যাঙ্কের কর্মী অফিসাররা একে একে আসতে শুরু করেছেন। ততক্ষণে এসে গিয়েছেন কিছু আমানতকারীও। ঠিক সেই সময় বিনা বাধায় ব্যাঙ্কে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। ব্যাঙ্কের শাখায় ঢুকেই প্রত্যেকে স্বমূর্তি ধারণ করে। দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকেরই হাতে ততক্ষণে উঠে এসেছে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। ব্যাঙ্ক কর্মীদের এক জায়গায় নিয়ে আসে তারা। মেঝেতে বসতে বাধ্য করা হয়। সেখানে বসানো হয় ব্যাঙ্কে কাজে আসা বাসিন্দাদেরও। প্রত্যেকের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন একটি ব্যাগে রাখতে বাধ্য করে দুষ্কৃতীরা। ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ারের মাথায় বন্দুক ধরে এক দুষ্কৃতী। ব্যাঙ্কের ভল্ট খুলতে বাধ্য করা হয় তাঁকে। এরপর দুষ্কৃতীরা নিজেদের সঙ্গে থাকা পিঠ ব্যাগে টাকার বান্ডিল ভর্তি করে নেয়। সঙ্গে থাকা হাত ব্যাগও টাকার বান্ডিল ভর্তি করে নেওয়া হয়। এরপর বিনা বাধায় চম্পট দেয় তারা।
আরও পড়ুন: ভিক্ষা চাওয়ার নামে ঘরে ঢুকে ডাকাতি, মহিলার যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দিল দুষ্কৃতীর দল
দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যাবার পর আশপাশের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা ডাকাতির কথা জানতে পারে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন-সহ জেলা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। কিন্তু ততক্ষণে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। জনবহুল এলাকায় এত বড় ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় শহরজুড়ে। ঠিক কত টাকা লুট করেছে দুষ্কৃতীরা সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি কর্তৃপক্ষ এবং জেলা পুলিশ। তবে ৩০ লক্ষ টাকার বেশি ডাকাতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান জেলা পুলিশের। এ ব্যাপার নিশ্চিত হতে ভল্টে কত টাকা ছিল, এখন কত টাকা রয়েছে তা হিসেব করে দেখা হচ্ছে।
Saradindu Ghosh