শীত পড়তেই লেপ বানানোর কর্মব্যস্ততা বেড়ে গিয়েছে তাঁদের। তাঁদের আরও দাবি, লেপের উষ্ণতা শারীরিকভাবে স্বস্তি দেয়। এই উষ্ণতার স্বাদে যাঁরা আসক্ত, তাঁরা আধুনিক কম্বল ব্যাবহার থেকে দূরে থাকেন৷ দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে প্রায় ৫০ টির অধিক লেপ – তোষকের দোকান রয়েছে৷ ওই সমস্ত দোকান গুলি বংশ পরম্পরায় চালিয়ে আসছেন ধুনুরিরা ও তোষক কারিগররা ৷ সারাবছর লেপ, তোষক ও বালিশ তৈরির বরাত পান তাঁরা ৷ এখনও তাঁরা পাড়ায় পাড়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তুলা ধুনে লেপ, বালিশ ও তোষক তৈরি করেন।
advertisement
আরও পড়ুন : কাঠ পুড়িয়ে তৈরি হয় নতুন জ্বালানি, মালদহের ‘কালো সোনা’ কাঠকয়লা! হোটেল-কারখানায় এখনও ভরসা
শীতের শুরুতে তাদের কাজের চাপ অনেক বেড়ে যায় এবং তারা দিনরাত পরিশ্রম করেন। ধুনুরিরা একটি ধনুকের মত যন্ত্র ব্যবহার করে জমাট বাঁধা তুলো থেকে ধুলো ও ময়লা পরিষ্কার করে তুলোকে নরম ও ঝরঝরে করেন। এই প্রক্রিয়াটি “তুলো ধোনার” নামে পরিচিত এবং এটি মূলত লেপ ও তোষক তৈরির জন্য করা হয়। আধুনিক কম্বল এবং প্রযুক্তির কারণে এই পেশায় যুক্তদের পেটে টান পড়েছিল ঠিকই, কিন্তু ফের চাহিদা বাড়ছে। পেশা ধরে রেখেছেন ধুনুরিরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কারণ, নরম লেপের আরামে যারা অভ্যস্ত, তাদের কাছে কদর কমেনি। ধুনুরিদের দাবি, বাজারে নিত্যনতুন জিনিস যতই আসুক, মানুষের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমন পুরোনো ঐতিহ্যবাহী জিনিসগুলির চাহিদাও ধীরে ধীরে আবার বাড়ছে। দুর্গাপুরে এক এক জন ৩০ থেকে ৪০ টা করে লেপ বানাচ্ছেন এই মরসুমে। বর্তমানে তুলোর দাম অনেকগুণ বেড়ে গিয়েছে। লেপের দাম শুরু হচ্ছে হাজার টাকা থেকে। তুলোর তৈরি লেপের পাশাপাশি তোষক, বালিশের চাহিদা থাকে সারা বছর।





