সেই সময় কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা জাতীয় সড়ক অবরোধ, আন্দোলন বহু কিছু করেছেন। কিন্তু কারখানার দরজা খোলেনি। এমনকি রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। তাতেও কাজ হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের উদ্যোগে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। যেখানে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক ছাড়াও কারখানার মালিকপক্ষ এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব হাজির ছিলেন। সেখানেই নতুন করে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ঝারখন্ডই রাজ্যের বায়ু দূষণের বিশাল কারণ! নিয়ন্ত্রণে এবার মোক্ষম পরিকল্পনা
কথামতো ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে কারখানার দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এই কারখানায় উৎপাদন চালু হলে প্রায় চার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে পুরানো শ্রমিকদের। তাই পুরানো শ্রমিকদের সমস্ত নথিপত্র নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। যে কারণে খুব স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া শ্রমিক মহলে।
আরও পড়ুন: আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সীমান্তে চলছে বড় কর্মকাণ্ড! এবার কি বাড়বে আলুর জোগান?
যদিও খুশির পাশাপাশি কিছুটা আশঙ্কাও রয়েছে শ্রমিকদের মধ্যে। শ্রমিকরা বলছেন, পুরানো শ্রমিকরা যাতে চাকরি পান, সেই বিষয়টির দিকে কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধির বাজারে যাতে শ্রমিকদের বেতন কিছুটা বাড়ে, সেই আবেদন জানিয়েছেন তারা। অন্যদিকে তাদের আশঙ্কা, কারখানা চালু হলেও উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা না থাকলে আবার আগের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে কিনা। তবে এসবের মধ্যে সকলেই চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব তারা কাজের জায়গায় ফিরে আসুন। দ্রুত উৎপাদন শুরু হোক।
নয়ন ঘোষ