TRENDING:

West Bardhaman News: অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মী আজ শাক বেচেন, সকাল হলেই বেরিয়ে পড়েন সাইকেল নিয়ে! মাসে পান মোটা পেনশনও

Last Updated:

West Bardhaman News: অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী, পান মোটা অঙ্কের পেনশন। তবুও শরীর ফিট রাখতে বৃদ্ধ বয়সে সাইকলে নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় বিক্রি করেন শাক।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দুর্গাপুর, দীপিকা সরকার: মোটা অঙ্কের সরকারি পেনশন পান তিনি। ছেলেমেয়েরা স্বাবলম্বী। সংসারে রয়েছে আর্থিক স্বচ্ছলতা। তা সত্বেও কেবল শরীরকে সচল রাখতে বছর ৭৫’এর এই অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী যা করছেন, জানলে অবাক হবেন। দুর্গাপুর এক নম্বর ওয়ার্ডের কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর চন্দ। তিনি ছিলেন ভারতীয় সেনা কর্মী। ১৫ বছর চাকরি করেছেন। দেশবাসীকে রক্ষা করতে তৎপরতার সঙ্গে তিনি তাঁর কর্ম করে এসেছেন৷
advertisement

সেখান থেকে অবসরপ্রাপ্ত হওয়ার পরেই দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি সংস্থায় গার্ডের কাজে নিযুক্ত হন। ৬০ বছর বয়সে তিনি ওই বেসরকারি সংস্থা থেকে অবসর নেন। প্রায় ৩০ বছর চাকরি জীবন কাটিয়ে বাড়িতে বসে অবসরজীবন কাটাতে গিয়ে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছিলেন। শারীরিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন ধীরে ধীরে। এই ভাবেই বাড়িতে বসে দীর্ঘ ১০ টি বছর কাটান তিনি। এরপর তাঁর চাকরি জীবনের আগের পেশায় ফের ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

advertisement

আরও পড়ুন: বর্ধমানে এমন মেলা আগে হয়নি, না গেলে আফসোসে মাথা ঠুকবেন! এমন সুযোগ কিন্তু বারবার আসে না

তিনি চাকরি পাওয়ার আগে দুর্গাপুরের আশীষ মার্কেটে সবজি বিক্রি করতেন৷ সেই পেশায় ফের ফিরে আসেন  ৭০ বছর বয়সে। বাড়ি থেকে প্রতিদিন ভোর ৪ টে নাগাদ সাইকেল চালিয়ে বেরিয়ে পড়েন দুর্গাপুর সেন মার্কেটের উদ্দেশ্যে। সেখানে পাইকারি বাজার থেকে চারটি ব্যাগে করে নানান শাক ভরে নিয়ে চলে আসেন টাউনশিপে৷ পাঁচ ঘন্টা  অলিতেগলিতে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি বাড়ি শাক বিক্রি করেন তিনি৷

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
মাত্র ৩০ টাকায় এক হাত লম্বা 'এগরোল'...! কোথায় পাওয়া যাচ্ছে জানেন? বিরাট চমক
আরও দেখুন

বৃদ্ধ শাক বিক্রেতা শঙ্করবাবুর দাবি, রোজগারের জন্য নয়,শরীর ও মনকে সুস্থ রাখার জন্য সাইক্লিং এর পাশাপাশি তিনি শাক বিক্রি করেন৷ পেনশন পান ২৫ হাজার টাকা। আর শাক বিক্রি করে মাসে রোজগার হয় সাত থেকে আট হাজার টাকা৷ তাঁর স্ত্রী ও ছেলে – বৌমারা শাক বিক্রির পেশা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও তিনি তা মানতে নারাজ। এই বয়সে এসেও বাড়িতে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে পড়া নিজের নাতিনাতনিদের অঙ্ক সহ সমস্ত বিষয় পড়ান  নিজেই। কোনও গৃহশিক্ষক দেননি তাদের। শরীরে রোগজ্বালা কিছুই নেই তাঁর। এই ভাবেই শঙ্করবাবু সুন্দর কাটাচ্ছেন নিজের অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ কাল।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
West Bardhaman News: অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মী আজ শাক বেচেন, সকাল হলেই বেরিয়ে পড়েন সাইকেল নিয়ে! মাসে পান মোটা পেনশনও
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল