সন্ধ্যা নামতেই এলাকাবাসীকে ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হত। এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ওই মোড়ে তথা দুর্গাপুর থেকে লাউদোহা যাওয়ার অন্যতম প্রধান রাস্তায় পথবাতির দাবি ছিল এলাকাবাসীর। সেই দাবি বছর দুয়েক আগে পূরণ হয়। ওই মোড় এলাকায় আসানসোল – দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে প্রায় ২০ টি পথবাতি বসান হয়। বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হলেও দীর্ঘদিন বিদুৎ সংযোগ দোওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এলাকাবাসী পথবাতির বিদ্যুৎ সংযোগ করার দাবি তুলে সরব হন। এর পরেই এলাকাবাসীর জীবনে আলো ফুটে ওঠে একদিন। একসময়ের অন্ধকারছন্ন ওই মোড় এলাকা আলোই ঝলমলে হয়ে ওঠে। দোকানপাট রাত পর্যন্ত খোলা থাকতে শুরু করে।
advertisement
আলো জ্বলে ওঠায় এলাকাবাসী ও মহিলা সহ পড়ুয়াদের মধ্যে বিপদের আশঙ্কা ও আতঙ্ক কেটে যায়। কয়েকমাস অন্য রকম জীবনযাপনে অভস্ত্য হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। এরপর পশ্চিম বর্ধমানের ওই এলাকায় সরকারি ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি জল পরিষেবা দেওয়ার জন্য এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর থেকে পাইপলাইন বসাতেই ঘটে বিপত্তি। মাটি খুঁড়ে পাইপলাইন বসানোর সময় পথবাতির বিদ্যুৎ সংযোগের তার কেটে যায়। ওই দিন থেকে ফের এলাকাটি অন্ধকারছন্ন হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। অতীতের মত ফের সন্ধ্যা হতেই এলাকাটি জনশূন্য হয়ে পড়ে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এলাকাবাসী পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয় পথবাতির বিদ্যুৎ সংযোগের দাবিতে। কিন্তু প্রায় তিন মাস অতিক্রম করে গেলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। অভিযোগ, এই বর্ষাকালে অন্ধকার রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে সাপ খোপের আতঙ্ক রয়েছে। পাশাপাশি এলাকার মহিলা সহ পড়ুয়ারা আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করছেন। এলাকাবাসীর দাবি,এই সমস্যা থেকে দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে হবে প্রশাসনকে।
দীপিকা সরকার