বিশ্বভারতীর শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় গড়ে উঠছে ওই মণ্ডপ। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, নব প্রজন্মের শিশুরা ভুলতে বসেছে মাতৃভাষা, জানেনা সহজপাঠ বইয়ের মজার মজার কবিতা ও ছড়া। ওই কবিতা ও ছড়ার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে শৈশবের খেলাধূলার গল্পগুলি। তাই শিশু সহ অভিভাবকদের সহজপাঠের স্মৃতি স্মরণ করাতে ও আকৃষ্ট করতে এবার তাদের থিম ‘কাগজের নৌকা’। যেখানে নৌকার পালে লেখা রয়েছে কবিতার কলিগুলি।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘হাউসিং ফর অল’ প্রকল্পের টাকা নিয়ে নয়-ছয়! মাথায় হাত ৩০০ উপভোক্তার, কী হতে চলেছে পুরুলিয়ায়
কোথাও লেখা, মেঘের কোলে রোদ হেসেছে বাদল গেছে টুটি, আজ আমাদের ছুটি ও ভাই, আজ আমাদের ছুটি। আবার কোথাও লেখা হাট কবিতার সেই বিখ্যাত পংক্তিটি, কুমোর পাড়ার গোরুর গাড়ি বোঝাই করা কলসি হাঁড়ি…. এই মণ্ডপ দর্শন করলে ছেলেবেলার স্মৃতি বিজড়িত এমনই সব কবিতা আবারও মনে পড়বে দর্শনার্থীদের। ফিরে পাবে যেন একটুকরো ছেলেবেলার স্বাদ। পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের পুজো চলতি বছরে ৪৪ তম বর্ষে পদার্পণ করছে। কালীপুজোর আগের দিনই মণ্ডপের শুভ উদ্বোধন হবে। আকর্ষণীয় মণ্ডপের সঙ্গে মানানসই প্রতিমা থাকবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পূর্ব বর্ধমানের শিল্পী রাজু রায় অত্যন্ত পরিশ্রম করে ওই থিম ফুটিয়ে তুলছেন। মণ্ডপ ঘিরে থাকছে অত্যাধুনিক আলোকসজ্জা। পুজোতে এলাকার মহিলাদের অংশগ্রহণ প্রশংসনীয়। পুজোর চাঁদা তোলা, পুজোর বাজার থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-সহ পুজো আর্চনার সমস্ত ব্যবস্থা তাঁরাই করেন। পুজোর কয়েকদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এলাকার ছেলে-মেয়েদের প্রতিভা প্রদর্শনের সুযোগ করে দেন পুজো কমিটি। পুজোকে কেন্দ্র করে থাকে ভোগ বিতরণ সহ খাওয়া দাওয়ার অনুষ্ঠান।