শিল্পাঞ্চলে দামোদর নদের পাড়ে বসবাসকারী ওই পরিবারগুলির বর্তমানে জীবিকা হয়ে উঠেছে প্রকৃতি থেকে সংগৃহীত শুকনো ফুল বিক্রি। ওই ফুল কলকাতার কিছু ব্যবসায়ী সংগ্রহ করে রংবেরঙের করে তুলতেই চড়া দামে রফতানি হচ্ছে ইউরোপ ও আমেরিকার মতো বিভিন্ন দেশে।
advertisement
আন্তর্জাতিক বাজারে শুকনো ফুলের চাহিদা প্রায় তিন দশক ধরে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমেরিকা, ইউরোপ, জার্মান, রাশিয়া, ইংল্যান্ড ও জাপান-সহ প্রায় ২০টি দেশে ভারতের প্রায় ৫০০ প্রজাতির শুকনো ফুল রফতানি করা হয়। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে দামোদর নদের চরে সর, কাশ, হোগলা ও নল গাছের বিরাট ঝোপ রয়েছে। ওই এলাকার নদের পাড়ের বাসিন্দারা ওইসব গাছের ফুল ও কাঠি সারাবছর সংগ্রহ করে রোদে শুকনো করেন। এলাকার এক ব্যবসায়ী এলাকাবাসীর কাছ থেকে সেই শুকনো ফুল ও কাঠিগুলি কিনে নেন।
আরও পড়ুনঃ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দাউদাউ করে জ্বলছে তুলো বোঝাই ট্রাক! চাঞ্চল্য ঘোজাডাঙ্গায়
সেখান থেকে জয়নগরের এক ব্যবসায়ী তা কিনে নিয়ে একটি কারখানায় সেগুলিকে রংবেরঙের করে তোলেন। এরপরে কলকাতার বেশ কয়েকটি রফতানি সংস্থা সেগুলি কিনে নিয়ে বিদেশে রফতানি করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদীর চরে এইসব গাছের ঘন জঙ্গল রয়েছে। তাঁরা নৌকা করে ওই জঙ্গলে গিয়ে সর, কাশ, হোগলা ও নল গাছ সংগ্রহ করেন। নল, কাশ ও সরগাছের এক হাজার ফুল বিক্রি করে প্রায় ৬০০ টাকা আয় হয়। এক হাজার হোগলা ফুল পিছু ২০০ টাকা মেলে। এছাড়াও নল ও সরের এক একটি কাঠি পিছু ৬০ পয়সা আয় হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কলকাতার একটি রফতানি সংস্থার কর্ণধার রাজীব আগরওয়াল বলেন, “দুর্গাপুরে শুকনো ফুল আমরা রফতানি করি ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও জার্মান-সহ বিভিন্ন দেশে। নভেম্বর মাস থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত এগুলি পাওয়া যায়। এক দু’মাস বন্ধ থেকে জুন ও জুলাই থেকে আবার শুরু হয়। বিদেশে এই শুকনো ফুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।





