পড়াশোনার পাশাপাশি বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্র-ছাত্রীরা এই আলোর উৎসবে আপনার বাড়িকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে ও আলোকময় করে তুলতে তৈরি করছে বাহারি মোমবাতি। তাদের হাতে একরকম জাদু রয়েছে বললেই চলে। তাই এই আলোর উৎসবে তাঁদের হাতের তৈরি বাহারি মোমবাতি দিয়ে আপনার বাড়ি সুন্দরভাবে আরও সেজে উঠবে।
আরও পড়ুন: বর্ধমানের ব্যবসায়ীর দুর্দান্ত বিজনেস আইডিয়া! জমি ছেড়ে ছাদেই করছেন ‘এইসব’ চাষ, রোজগারের নতুন দিশা
advertisement
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল ব্রেইল অ্যাকাডেমির প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ মণ্ডল বলেন, “খুব সহজ পদ্ধতি যেভাবে সাধারণত মোমবাতি তৈরি করা হয় সেভাবেই আমাদের এখানে তৈরি করা হচ্ছে। আমরা তাঁদের স্পেশালি একটু গাইড করে দিই। তাদেরকে জিনিসগুলো ভালভাবে হাতে করে অনুভব করানো হয়। এখানে বিভিন্ন ধরনের মোমবাতি পাওয়া যায় বিশেষ করে যেহেতু সামনে দীপাবলি আসছে তাই দীপাবলির জন্যে বাহারি মোমবাতি রয়েছে”।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আসানসোল ব্রেইল অ্যাকাডেমি ২০০৮ সালে স্থাপিত হয়। তখন থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় শিক্ষিত করে তোলার পাশাপাশি হাতে কলমে বিশেষভাবে শিক্ষা দেওয়া হয়। তার মধ্যে অন্যতম এই মোমবাতি। কিন্তু কীভাবে এই মোমবাতি তৈরি করছে ছাত্র-ছাত্রীরা? জানা গিয়েছে, প্রথমে একটি ডিজাইন বা সাজ নেওয়া হচ্ছে, এর পরে সেই সাজের মধ্যে কাঠি ও সুতো পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে কাঠি প্রয়োজন হয় না। ভিতরে তেল মাখিয়ে দেওয়া হয় যাতে সাজ থেকে সহজে মোমবাতিটা বের করা হয়। এরপরে মোম গলান হয়। বিভিন্ন কালার ব্যবহার করা হয়। সেই সাজের মধ্যে ঢেলে দেওয়া হয় এরপরে বেশ কিছুক্ষণ রাখা হয়। তারপরেই তৈরি হয়ে যায় মোমবাতি। তাই এই আলোর উৎসবে বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রী ছাত্রীদের হাতের তৈরি মোমবাতি আপনার বাড়িতে নিয়ে গেলে আপনার বাড়ি আরও আলোকময় হয়ে উঠবে ও সৌন্দর্য বেড়ে উঠবে। চাইলে আপনিও নিতে আসতে পারবেন এই মোমবাতি। বাজারের থেকে অনেকটা দাম কমে পেয়ে যাবেন এখানে বাহারি মোমবাতি।