Business Idea: বর্ধমানের ব্যবসায়ীর দুর্দান্ত বিজনেস আইডিয়া! জমি ছেড়ে ছাদেই করছেন 'এইসব' চাষ, রোজগারের নতুন দিশা

Last Updated:
এবার এক ভিন্ন চিত্র দেখা গেল এই জেলাতেই। মাঠ নয়, বাড়ির ছাদে এইসব চাষ করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কাটোয়া শহরের পানুহাটের বাসিন্দা চঞ্চল চৌধুরী।
1/6
রাজ্যের ধানের গোলা নামে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে ব্যাপকভাবে ধান চাষ হয়। সাধারণত ধান চাষ মানেই বিস্তীর্ণ মাঠের ছবি। কিন্তু এবার এক ভিন্ন চিত্র দেখা গেল এই জেলাতেই। মাঠ নয়, বাড়ির ছাদে ধান চাষ করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কাটোয়া শহরের পানুহাটের বাসিন্দা চঞ্চল চৌধুরী। (তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
রাজ্যের ধানের গোলা নামে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে ব্যাপকভাবে ধান চাষ হয়। সাধারণত ধান চাষ মানেই বিস্তীর্ণ মাঠের ছবি। কিন্তু এবার এক ভিন্ন চিত্র দেখা গেল এই জেলাতেই। মাঠ নয়, বাড়ির ছাদে ধান চাষ করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কাটোয়া শহরের পানুহাটের বাসিন্দা চঞ্চল চৌধুরী। (তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
advertisement
2/6
চঞ্চল বাবু পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি জানিয়েছেন, একবার বাড়ির ছাদে রাখা টবে পাখি ধান ফেলে দিলে সেখান থেকে ধান গজাতে দেখে তাঁর মনে এই ধারণা আসে। তখনই তিনি বুঝেছিলেন যে কংক্রিটের মাঝেও সবুজ চাষ করা সম্ভব। এরপর মজার ছলে ধানের বীজতলা তৈরি করেন এবং সফল হন।
চঞ্চল বাবু পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি জানিয়েছেন, একবার বাড়ির ছাদে রাখা টবে পাখি ধান ফেলে দিলে সেখান থেকে ধান গজাতে দেখে তাঁর মনে এই ধারণা আসে। তখনই তিনি বুঝেছিলেন যে কংক্রিটের মাঝেও সবুজ চাষ করা সম্ভব। এরপর মজার ছলে ধানের বীজতলা তৈরি করেন এবং সফল হন।
advertisement
3/6
লকডাউনের সময় থেকে তিনি এই ছাদে ধান চাষ শুরু করেন। বর্তমানে চার বছর ধরে তিনি নিয়মিত এই চাষ করছেন। তাঁর দাবি, প্রতি সিজনে প্রায় চারবার পাঁচ কেজি করে ধান উৎপাদন হয়। অর্থাৎ বছরে প্রায় ২০ কেজি ধান পান, তিনি নিজের ছাদ থেকেই।
লকডাউনের সময় থেকে তিনি এই ছাদে ধান চাষ শুরু করেন। বর্তমানে চার বছর ধরে তিনি নিয়মিত এই চাষ করছেন। তাঁর দাবি, প্রতি সিজনে প্রায় চারবার পাঁচ কেজি করে ধান উৎপাদন হয়। অর্থাৎ বছরে প্রায় ২০ কেজি ধান পান, তিনি নিজের ছাদ থেকেই।
advertisement
4/6
চঞ্চল বাবু জানান, মাঠে ধান চাষে জলের অভাব, দিনমজুরের সমস্যা, পোকার আক্রমণ-সহ নানা অসুবিধা থাকে। কিন্তু ছাদে ধান চাষ করলে সেই সব ঝামেলা অনেকটাই কম। এতে পরিশ্রমও তুলনামূলক কম লাগে এবং ফলনও সন্তোষজনক হয়।
চঞ্চল বাবু জানান, মাঠে ধান চাষে জলের অভাব, দিনমজুরের সমস্যা, পোকার আক্রমণ-সহ নানা অসুবিধা থাকে। কিন্তু ছাদে ধান চাষ করলে সেই সব ঝামেলা অনেকটাই কম। এতে পরিশ্রমও তুলনামূলক কম লাগে এবং ফলনও সন্তোষজনক হয়।
advertisement
5/6
এই ছাদে ধান চাষের জন্য তিনি চারদিকে চারটি পিলার করে উপরে একটি মাচা তৈরি করেছেন। সেই মাচার ওপর পলিথিন বিছিয়ে তার মধ্যে মাটি ভরেছেন। পলিথিন থাকার কারণে জল খুব কম লাগে এবং নীচে পড়ে না। এই মাটিতেই তিনি জৈব পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণ করেন।
এই ছাদে ধান চাষের জন্য তিনি চারদিকে চারটি পিলার করে উপরে একটি মাচা তৈরি করেছেন। সেই মাচার ওপর পলিথিন বিছিয়ে তার মধ্যে মাটি ভরেছেন। পলিথিন থাকার কারণে জল খুব কম লাগে এবং নীচে পড়ে না। এই মাটিতেই তিনি জৈব পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণ করেন।
advertisement
6/6
চঞ্চল বাবুর পরিকল্পনা, ভবিষ্যতে ছাদ থেকে জমির দূরত্ব আরও বাড়িয়ে দিলে নিচের ফাঁকা জায়গায় মুরগি প্রতিপালনও করা যাবে। তাতে ধান ও মুরগি দুইয়ের চাষ একসঙ্গে করা সম্ভব হবে। এতে খরচ কমবে, লাভ বাড়বে এবং শহরের মধ্যেই গড়ে উঠবে এক অভিনব কৃষি উদ্যোগ। এ যেন চঞ্চলবাবুর দুর্দান্ত বিজনেস আইডিয়া, যা ছাদে একইসঙ্গে ধান চাষ ও মুরগি প্রতিপালন করে লাভের মুখ দেখতে পারেন যে কেউ। (তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
চঞ্চল বাবুর পরিকল্পনা, ভবিষ্যতে ছাদ থেকে জমির দূরত্ব আরও বাড়িয়ে দিলে নিচের ফাঁকা জায়গায় মুরগি প্রতিপালনও করা যাবে। তাতে ধান ও মুরগি দুইয়ের চাষ একসঙ্গে করা সম্ভব হবে। এতে খরচ কমবে, লাভ বাড়বে এবং শহরের মধ্যেই গড়ে উঠবে এক অভিনব কৃষি উদ্যোগ। এ যেন চঞ্চলবাবুর দুর্দান্ত বিজনেস আইডিয়া, যা ছাদে একইসঙ্গে ধান চাষ ও মুরগি প্রতিপালন করে লাভের মুখ দেখতে পারেন যে কেউ। (তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
advertisement
advertisement
advertisement