আরও পড়ুন: সর্বভারতীয় মহিলা ফুটবলের আসর মেদিনীপুরে
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে হস্ত চালিত শিল্প সঙ্কটের মুখে। মেশিনে বোনা এবং সুরাট থেকে আমদানি করা সস্তার শাড়ির দৌরাত্ম্যে হস্তচালিত তাঁতের শাড়ি কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ তাঁত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অধিকাংশ তাঁতি বিকল্প রুজির সন্ধানে আপন পরিবার ছেড়ে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে ভিন রাজ্যে কর্মরত। এমন একটা পরিস্থিতিতে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই ট্যাগ পাওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে অনেকে মনে করছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন এই স্বীকৃতির হাত ধরে হস্তচালিত তাঁতের সুদিন কি ফিরবে? এখানে রুজি হারিয়ে যে সকল তাঁতিরা ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করছেন তাঁদের প্রশ্ন, এই বিশেষ স্বীকৃতি পাওয়ার ফলে আবার কি ঘরে ফিরে রোজগার করা যাবে?
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
জিআই ট্যাগ পাওয়ায় টাঙ্গাইল শাড়ির মৌলিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু এর সঙ্গে জড়িত তাঁতিদের ভবিষ্যৎ আদৌ বদলাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। এই সুখবরের মধ্যেই হতাশ তাঁতিদের দাবি, সম্প্রতি বিভিন্ন ধরনের সিন্থেটিক সুতো এবং উন্নত রেপেয়ার মেশিন আসার পর থেকেই এই শিল্প ধ্বংসের মুখে পড়েছে। এদিকে টাঙ্গাইল শাড়ি জিআই স্বীকৃতি পাওয়ায় যথেষ্ট খুশি পদ্মশ্রী প্রাপ্ত তাঁত শিল্পী বীরেন বসাক। তিনি বলেন, এটি আমাদের দীর্ঘদিনের লড়াই ছিল। আমরা বিভিন্ন সরকারি দফতরে টাঙ্গাইল শাড়ির স্বীকৃতি পাওয়া নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এদিকে ব্যবসায়ীদের ধারণা, টাঙ্গাইল শাড়ি জিআই ট্যাগ পাওয়ায় ফুলিয়ায় পর্যটনের প্রসার হবে।
মৈনাক দেবনাথ