TRENDING:

Tant Gram: আসল নাম ছেড়ে পেয়েছে অন্য নাম! বীরভূমের সেই গ্রামে গেলে আজও শোনা যায় মাকুরের খটখটানি

Last Updated:

জানেন বীরভূমের কোথায় রয়েছে এই গ্রাম?

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বীরভূম: বীরভূম মূলত একদিকে যেমন ধান এবং সবজির জন্য বিখ্যাত, ঠিক অন্য জায়গায় দাঁড়িয়ে বীরভূম তাঁতের জন্যও বিখ্যাত। বীরভূমের মধ্যে অবস্থিত বসোয়া, বিষ্ণুপুর, মারগ্রামের পাশাপাশি রয়েছে আরও এক তাঁতগ্রাম। এই গ্রামকে তাঁত গ্রাম নাম দেওয়া রয়েছে অন্য এক কারণে। বীরভূমের লাভপুরের আবাডাঙা গ্রামে তাঁত শিল্পীদের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে বড় হ্যান্ডলুম ঘর। যেখানে অনেক তাঁত শিল্পীরা একসঙ্গে তাঁত বনুতে পারছেন। আমাদের বাড়ির আনাচে কানাচে যে দিকেই চোখ রাখা যাক না কেন আমাদের চোখে ঠিক পড়ে যাই কোন না কোন পুরাতনী শিল্প, তা সে টেবিলে রাখা ফুল দানি হোক বা বারান্দাই রাখা ফুল গাছের টব। ঐতিহ্যের ছাপ রয়ে গেছে বস্ত্রেও। বাংলায় সেই সময় বস্ত্রের জগতে যে কয়েকটি শিল্পের নাম উল্লেখ ছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বালুচুরি, তসর, মসলিন, তাঁত প্রভৃতি।
advertisement

তাঁত মূলত একটি কুটির শিল্প। নদিয়ার শান্তিপুর ও হুগলির ধনেখালি মূলত তাঁত শিল্পের পীঠস্থান বলে চিহ্নিত হলেও এর বাইরেও বিভিন্ন জায়গার মানুষের জীবনজীবিকা এই তাঁত শিল্পকে ঘিরে। আজও বীরভূমের এমন অনেক গ্রাম রয়েছে যেই গ্রামে সকাল থেকেই মাকুরের খটখট শব্দ শোনা যায়। আজ আমরা দেখব এমন একটি গ্রাম। সেই গ্রামের নাম আবাডাঙ্গা। বীরভূম জেলার লাভপুর থানার অন্তর্গত এই গ্রামে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫০ টি ঘরের মানুষের মূল জীবিকা এই তাঁত শিল্প। বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে চলে আসা এই শিল্পকেই এখনও তারা টিকিয়ে রেখেছেন মূলত পেটের দায়ে।

advertisement

আরও পড়ুন: হাসপাতালে আর মিলবে না রক্তমাখা নোংরা চাদর! রোগীদের উন্নতমানের পরিষেবা দিতে এসে গেল স্পেশাল লন্ড্রি

আবাডাঙ্গার তাঁত শিল্পী বুদ্ধদেব কুণ্ডুর কথায়, তাদের পরিবারের আদি জীবিকা এই তাঁত শিল্প। বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে চলে আসছে এই শিল্প। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ বছর ধরে তাদের পরিবার যুক্ত তাঁত শিল্পের সঙ্গে। তবে তারা মূলত এই শিল্পে এসেছেন নিরুপায় হয়ে। পড়াশুনা করার পরেও যখন কোন চাকরি জোটেনি তখন তারা জীবিকা হিসেবে বেছে নেই এই পথ।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

তবে বর্তমানে তাদের এই জীবিকাই লাভ তেমন নেই বললেই চলে। এতদিন এই গ্রামের মধ্যে কোন হ্যান্ডলুম সেন্টার ছিল না বলে অনেক সমস্যা সম্মুখীন হয়েছেন তাঁত শিল্পীরা। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁতিদের জন্য হ্যান্ডলুম সেন্টার তৈরি করেছেন। আর এই সেন্টারে একসঙ্গে একাধিক মানুষজন তাঁত বুনতে পারছেন। ফলে আগের থেকে কিছুটা হলেও বেশি মুনাফা অর্জন হচ্ছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কলা গাছের থেকেও বড় কলার কাঁদি! ৭ ফুটের কলার কাঁদিতে ১০০০ কলা, রইল ফটো
আরও দেখুন

সৌভিক রায়

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Tant Gram: আসল নাম ছেড়ে পেয়েছে অন্য নাম! বীরভূমের সেই গ্রামে গেলে আজও শোনা যায় মাকুরের খটখটানি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল