তাঁত মূলত একটি কুটির শিল্প। নদিয়ার শান্তিপুর ও হুগলির ধনেখালি মূলত তাঁত শিল্পের পীঠস্থান বলে চিহ্নিত হলেও এর বাইরেও বিভিন্ন জায়গার মানুষের জীবনজীবিকা এই তাঁত শিল্পকে ঘিরে। আজও বীরভূমের এমন অনেক গ্রাম রয়েছে যেই গ্রামে সকাল থেকেই মাকুরের খটখট শব্দ শোনা যায়। আজ আমরা দেখব এমন একটি গ্রাম। সেই গ্রামের নাম আবাডাঙ্গা। বীরভূম জেলার লাভপুর থানার অন্তর্গত এই গ্রামে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫০ টি ঘরের মানুষের মূল জীবিকা এই তাঁত শিল্প। বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে চলে আসা এই শিল্পকেই এখনও তারা টিকিয়ে রেখেছেন মূলত পেটের দায়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: হাসপাতালে আর মিলবে না রক্তমাখা নোংরা চাদর! রোগীদের উন্নতমানের পরিষেবা দিতে এসে গেল স্পেশাল লন্ড্রি
আবাডাঙ্গার তাঁত শিল্পী বুদ্ধদেব কুণ্ডুর কথায়, তাদের পরিবারের আদি জীবিকা এই তাঁত শিল্প। বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে চলে আসছে এই শিল্প। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ বছর ধরে তাদের পরিবার যুক্ত তাঁত শিল্পের সঙ্গে। তবে তারা মূলত এই শিল্পে এসেছেন নিরুপায় হয়ে। পড়াশুনা করার পরেও যখন কোন চাকরি জোটেনি তখন তারা জীবিকা হিসেবে বেছে নেই এই পথ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে বর্তমানে তাদের এই জীবিকাই লাভ তেমন নেই বললেই চলে। এতদিন এই গ্রামের মধ্যে কোন হ্যান্ডলুম সেন্টার ছিল না বলে অনেক সমস্যা সম্মুখীন হয়েছেন তাঁত শিল্পীরা। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁতিদের জন্য হ্যান্ডলুম সেন্টার তৈরি করেছেন। আর এই সেন্টারে একসঙ্গে একাধিক মানুষজন তাঁত বুনতে পারছেন। ফলে আগের থেকে কিছুটা হলেও বেশি মুনাফা অর্জন হচ্ছে।
সৌভিক রায়





