বয়সের ভারে সেই কৃষক কিছুটা কান্ত হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু বয়স বিশেষ বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি তাঁর কাছে। চলতি বছরে মোট আট বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। কৃষক সর্বেশ্বর মাহাতো বলেন, তরমুজ চাষ করতে তিন মাস সময় লাগে। তাঁর জমিতে ফলন ভালই হয়েছে। তবে সেচের ক্ষেত্রে আরও কিছুটা জল পেলে ফলনে আরও গতি আসত। এলাকার কিছু কৃষক তাঁকে দেখে বিকল্প চাষের দিকে এগিয়ে আসছেন।
advertisement
কৃষকের এই বিকল্প চাষের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন ঝালদা ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপক সিংহ। তিনি বলেন, “আমি নিজে গিয়ে তরমুজ চাষ দেখে এসেছি। এলাকার অনেকেই এখন এই চাষের প্রতি উৎসাহ দেখাচ্ছেন। তবে তারা কিছু কিছু সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আমরা যথা শীঘ্রই সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।”
এলাকার বাসিন্দা জুরেন কুমার বলেন, “বয়সের তোয়াক্কা না করে উনি এই বয়সেও কৃষিকার্যে যে ভাবে সময় দেন এবং যে ভাবে উনি তরমুজ চাষ করেছেন তা খুবই প্রশংসনীয়। রুক্ষ মাটিতে তরমুজ ফলিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছেন পুরুলিয়ার এই কৃষক। তার এই চাষ অনেককেই বিকল্প রোজগারের রাস্তা দেখাচ্ছে।”
শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়