শুধু বর্ষাকাল নয়, একপ্রকার সারা বছরই যেন জলের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে হয় পূর্ব বর্ধমানের প্রায় ১০০টিরও বেশি পরিবারকে। স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণা বারুই জানিয়েছেন, “এই রাস্তায় সারাজীবনই জল, হয়ত মাস খানেক একটু শুকনো থাকে। পচা জলের মধ্যে দিয়েই আমাদের যাতায়াত করতে হয়। একটা সবজিওয়ালা, মাছওয়ালা কেউ আসেনা এই পাড়ায়।”
advertisement
আরও পড়ুন: দম বন্ধ হয়ে আসছিল বাংলার তাঁতিদের! এক ঝটকায় ভাগ্য খুলে দিল আসাম, হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন শিল্পীরা
সাপ, ব্যাঙ, মশা-মাছির উপদ্রব তো আছেই, সঙ্গে রয়েছে দুর্গন্ধযুক্ত পচা জল এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। পচা জল পেরিয়েই প্রতিদিনের কাজকর্ম চালাতে হয়। পরিস্থিতি বর্ষাকালে আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। তার উপর স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, কয়েক মাস ধরে এলাকায় বৈদ্যুতিক আলোর পরিষেবাও পাওয়া যাচ্ছেনা। স্বভাবতই অন্ধকারে চলাফেরা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। দীর্ঘদিন ধরে নিকাশির কোন সুব্যবস্থা না থাকাই এই সমস্যার মূল কারণ বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রিয়া হালদার বলেন, “মশা, সাপের প্রচুর উপদ্রব রয়েছে। জল পচে ব্যাপক দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। বাচ্চাদের স্কুলে যেতেও সমস্যা হয়। অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। একাধিক জায়গায় জানিয়ে শুধু আশ্বাস মিলেছে, এখনও কোন সুরাহা হয়নি।” অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েতকে বারবার জানানো সত্ত্বেও স্থায়ী কোন সমাধান মেলেনি। শুধু প্রতিশ্রুতি মিলেছে, “কয়েক মাসের মধ্যেই কাজ হবে”। এ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী।
এই বিষয়ে হাট কানলা পঞ্চায়েত প্রধান শ্রাবন্তী মণ্ডল বলেন, প্লাস্টিক ও বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় না ফেলার কারণেই এই জল জমার সমস্যা। তবে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে এই রাস্তাটির কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে, সমস্যা মিটবে। তবে কবে মিলবে বাস্তবিক পরিবর্তন, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী





