TRENDING:

East Bardhaman News: বর্ষা নয়, ১২ মাসে ১০ মাসই এক হাঁটু জলে কাটে বাসিন্দাদের! উল্টে যা বলছে পঞ্চায়েত

Last Updated:

East Bardhaman News: বছরে ১২ মাসের মধ্যে প্রায় ১০ মাসই জল জমে থাকে রাস্তাঘাটে, উঠোনে, এমনকি ঘরেও ঢুকে পড়ে পচা জল

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পূর্ব বর্ধমান: বছরজুড়ে জলবন্দি জীবন, প্রতিশ্রুতি মিললেও মেলেনি সমাধান। পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা থানার অন্তর্গত হাট কানলা পঞ্চায়েতের দক্ষিণ রংপাড়া এলাকায় যেন এক নির্মম বাস্তবের চিত্র ফুটে উঠেছে। সারাবছরই প্রায় জলমগ্ন অবস্থায় কাটাতে বাধ্য হচ্ছে এখানকার বাসিন্দারা। বছরে ১২ মাসের মধ্যে প্রায় ১০ মাসই জল জমে থাকে রাস্তাঘাটে, উঠোনে, এমনকি ঘরেও ঢুকে পড়ে পচা জল, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
advertisement

শুধু বর্ষাকাল নয়, একপ্রকার সারা বছরই যেন জলের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে হয় পূর্ব বর্ধমানের প্রায় ১০০টিরও বেশি পরিবারকে। স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণা বারুই জানিয়েছেন, “এই রাস্তায় সারাজীবনই জল, হয়ত মাস খানেক একটু শুকনো থাকে। পচা জলের মধ্যে দিয়েই আমাদের যাতায়াত করতে হয়। একটা সবজিওয়ালা, মাছওয়ালা কেউ আসেনা এই পাড়ায়।”

advertisement

আরও পড়ুন: দম বন্ধ হয়ে আসছিল বাংলার তাঁতিদের! এক ঝটকায় ভাগ্য খুলে দিল আসাম, হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন শিল্পীরা

সাপ, ব্যাঙ, মশা-মাছির উপদ্রব তো আছেই, সঙ্গে রয়েছে দুর্গন্ধযুক্ত পচা জল এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। পচা জল পেরিয়েই প্রতিদিনের কাজকর্ম চালাতে হয়। পরিস্থিতি বর্ষাকালে আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। তার উপর স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, কয়েক মাস ধরে এলাকায় বৈদ্যুতিক আলোর পরিষেবাও পাওয়া যাচ্ছেনা। স্বভাবতই অন্ধকারে চলাফেরা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। দীর্ঘদিন ধরে নিকাশির কোন সুব্যবস্থা না থাকাই এই সমস্যার মূল কারণ বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রিয়া হালদার বলেন, “মশা, সাপের প্রচুর উপদ্রব রয়েছে। জল পচে ব্যাপক দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। বাচ্চাদের স্কুলে যেতেও সমস্যা হয়। অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। একাধিক জায়গায় জানিয়ে শুধু আশ্বাস মিলেছে, এখনও কোন সুরাহা হয়নি।” অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েতকে বারবার জানানো সত্ত্বেও স্থায়ী কোন সমাধান মেলেনি। শুধু প্রতিশ্রুতি মিলেছে, “কয়েক মাসের মধ্যেই কাজ হবে”। এ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী।

advertisement

এই বিষয়ে হাট কানলা পঞ্চায়েত প্রধান শ্রাবন্তী মণ্ডল বলেন, প্লাস্টিক ও বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় না ফেলার কারণেই এই জল জমার সমস্যা। তবে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে এই রাস্তাটির কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে, সমস্যা মিটবে। তবে কবে মিলবে বাস্তবিক পরিবর্তন, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Bardhaman News: বর্ষা নয়, ১২ মাসে ১০ মাসই এক হাঁটু জলে কাটে বাসিন্দাদের! উল্টে যা বলছে পঞ্চায়েত
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল