গত বছর প্রায় চার লক্ষ কিউসেক জল দামোদর দিয়ে বয়ে যাওয়ার পর উদয়নারায়ণপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয় এবং নানা স্থানে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবার বর্ষার আসার আগে থেকেই বিধায়ক সমীর কুমার পাঁজা এবং ব্লক প্রশাসনের নজরদারির পাশাপাশি সেচ দফতর মেরামতির কাজে হাত লাগায়। ফলে এলাকার মানুষ অনেকটা স্বস্তিতে।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশি বার্জের ঢেউয়ের ধাক্কায় সমুদ্রে পড়ে গেল মৎস্যজীবী! সাহায্য চাইলেও এগিয়ে এল না কেউ
advertisement
এদিকে গত বছরের তুলনায় এবার অনেক আগে থেকেই বর্ষার দাপট শুরু হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে উদয়নারায়ণপুর ব্লক এলাকার বাদাম, তিল ও বিভিন্ন চাষে ক্ষতি দেখা দিয়েছে। একদিকে সেই ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সরকারি সহযোগিতা প্রদান, অন্যদিকে যাতে নতুন করে এলাকার ক্ষতি সৃষ্টি না হয় সেইদিকে সজাগ প্রশাসন।
নিম্নচাপের জেরে অতিবৃষ্টি, সেই সঙ্গেই দফায় দফায় জল ছাড়ছে ডিভিসি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত উদয়নারায়ণপুরের কোনও অংশ প্লাবিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে ডিহিভূরশুট থেকে কয়েক কিলোমিটার নদী বাঁধে বিভিন্ন স্থানে গত বর্ষায় ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সকল স্থানে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে অধিকাংশ জায়গা মেরামতি হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই প্রসঙ্গে উদয়নারায়ণপুর ব্লকের সহ-সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত দাস জানান, এবার অনেক আগে থেকেই বর্ষার দাপট শুরু হয়েছে, ডিভিসি জল ছেড়েছে। তবে এখনও অবধি উদয়নারায়ণপুরের মানুষ সুরক্ষিত রয়েছে। বাঁধ এবং নদীপাড়ে নজরদারি চলছে। সেই সঙ্গেই কোনও কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে সরকারি এবং বিধায়ক সমীর কুমার পাঁজার নির্দেশ মত সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
রাকেশ মাইতি