যদিও এখনও পুরুলিয়া শহরের বেশ কিছু জায়গায় এই জলওয়ালারা টিনের পাত্রে ভরে জল পৌঁছে দেন বাড়িতে বাড়িতে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জলওয়ালাদের সংখ্যা কমলেও এখনও পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাননি তাঁরা। এককালে শতাধিক মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে সংখ্যাটা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এখন ২০ থেকে ২৫ জন এই পেশার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এই মানুষগুলির কথা চিন্তা করে পুরুলিয়া পুরসভা তৈরি করে দিয়েছে পিউরিফাই ওয়াটার রিজার্ভার। পুরানো ঐতিহ্য মেনে সেখান থেকেই টিনের পাত্রে জল ভরে ভ্যানে করে বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরায় পৌঁছে দেয় এই পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা। কিন্তু গ্রীষ্মের দিনে তাঁদের অবস্থা দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। ঠিকঠাকভাবে জল না পাওয়ায় নানান সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাবার থেকে দু’টাকা নিয়ে দোকানে যাবে বলে বেরিয়ে নিখোঁজ ছাত্র!
এই বিষয়ে জল বহনকারী দিনমজুরেরা জানান, জলের চাহিদা থাকলেও চাহিদা মত জলের যোগান দিতে পারছেন না তাঁরা। এতে তাঁদের রুটি রুজিতে টান পড়ছে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পুরসভাকে বলা হলেও তারাও কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না। জলের যোগান কম থাকার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি