আরও পড়ুন: এ যেন ‘মিনি গনগনি’! নতুন ট্যুরিস্ট স্পটের খোঁজ
গরম পড়তেই মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় সকাল থেকে বিকেল শুরু হয়েছে মাটির উনুনে জ্বাল দিয়ে এই গুড় তৈরি করার কাজ। জমি থেকে পরিপুষ্ট আখ কেটে পরিষ্কার করার পর মেশিনে চেপে বের করা হয় রস। মাটির উনুনের উপর বড় ড্রামে চাপিয়ে তাতে ঢেলে দেওয়া হয় সেই রস। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে জ্বাল দিয়ে সেই রস থেকে তৈরি করা হয় গুড়। এই গুড় প্রস্তুত করার সময় মিষ্টি একটা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারিপাশে।
advertisement
কান্দির রসোড়াতে আখের রসের গুড় তৈরির এমনই দৃশ্য আমরা ক্যামেরাবন্দি করেছি। সেখানে সকাল-বিকেল গুড় তৈরি করেন কারিগররা। মাটির হাঁড়িতে করে সে গুড় কিনে নিয়ে যান ক্রেতারা। কান্দি রসোড়া ছাড়াও খড়গ্রাম সহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় আখের রস থেকে গুড় তৈরির কাজ করেন চাষিরা। বংশ পরম্পরায় রসোড়াতে আখের রসের গুড় তৈরি করে আসছেন কারিগররা। এই কাজে প্রায় দু লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে বছর শেষে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার মতো হাতে আসে বলে জানিয়েছেন কারিগর।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
বড় একটি ড্রামে ৪০ কেজি আখের রস জ্বাল দিলে সেখান থেকে ১৫ কেজি গুড় পাওয়া যায়। বর্তমানে এই আখের গুড়ের চাহিদা তুঙ্গে। মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বেড়েছে। তাই অনেকেই বাড়িতে চিনির বদলে আখের গুড় ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। বর্তমানে এক কেজি আখের গুড়ের দাম ১০০ টাকা।
কৌশিক অধিকারী