বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন সোমবার বিকেলে। এরপর ধীরে ধীরে তার গন্তব্য প্রয়াগরাজ। হাতে মাত্র ৫০০ টাকা। সহায় সম্বল বলতে একটি কম্বল এবং ব্যাগে থাকা সামান্য জিনিসপত্র। খালি পা, হাতে ভারতের জাতীয় পতাকা। পিঠে ব্যাগ নিয়ে গেরুয়া বসন পরে তিনি চলেছেন মহাকুম্ভের মেলায়। পথে দেখা হওয়া মানুষজনের সঙ্গে কথা বলা এবং তাদের থেকে সামান্য ফল, বিস্কুট নিয়ে পৌঁছবেন কুম্ভতে। লক্ষ্য সনাতনী সংস্কৃতি রক্ষা করা, সেই উদ্দেশ্যেই তার এই প্রায় ৯০০ মাইল পথে হাঁটা।
advertisement
আরও পড়ুন: নদীর পাশে হলুদ সর্ষে ক্ষেত! কলকাতার কাছেই সঙ্গীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটান!
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শীতের সকাল হোক কিংবা সন্ধ্যা, গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য তিনি হেঁটে চলেছেন। মাঝে কোথাও বিশ্রাম নিচ্ছেন। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরের বাসিন্দা গোপাল রাউল। ছোট্ট একটা পিঠে ঝোলানো ব্যাগ, একটা ব্যানার তার ব্যাগের সঙ্গে বাঁধা, সঙ্গে দেশের জাতীয় পতাকা। মাথায় বাঁধা গেরুয়া ফেট্টি। খালি পায়ে রাম নাম জপতে জপতে তিনি চলেছেন প্রয়াগ রাজের উদ্দেশ্যে। প্রসঙ্গত এক বছর আগেই অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের সময় তিনি পায়ে হেঁটেই পৌঁছেছেন সেখানে। ত্যাগ করেছেন পরিবারের মায়া। সাংসারিক নানা চাপকে পাশে রেখেই তিনি থাকেন বিভিন্ন আশ্রমে। ভগবানের নাম করা, সনাতনী সংস্কৃতিতে এগিয়ে নিয়ে চলা তার লক্ষ্য।
এবার প্রয়াগরাজে আয়োজিত মহাকুম্ভের মেলায় যোগ দেবেন তিনি। দেশের সর্ববৃহৎ বহু মানুষের, পুণ্যার্থীর পুণ্য স্পর্শে এই মেলার ভাগীদার হতে চান তিনি। তবে পায়ে হেঁটে যেতে কষ্ট হচ্ছে না তার? তিনি বলেন, “ভগবানের কাছে পৌঁছতে এই কষ্ট তার কাছে কিছুই নয়।” তবে সে যাই হোক তার সময় লাগবে প্রায় কয়েক সপ্তাহ। তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
রঞ্জন চন্দ