এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর ব্লকের। এখানকার গোবিন্দপুর ও সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি নদী। একসময়ের প্রবাহমান নদীর নাব্যতা আজ প্রায় নেই বললেই চলে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে নদী আজ পরিণত হয়েছে কচুরিপানার স্তুপে।
আরও পড়ুন: মহাদেবের আরাধনায় ডিজের তাণ্ডব! বাংলার বদলে যাওয়া সংস্কৃতিতে খাদের কিনারায় জনস্বাস্থ্য
advertisement
এই অঞ্চলে একটি কাঠের সেতু থাকলেও সেটিও ভগ্নদশায়। ফলে ৩০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াত কার্যত ভরসা রাখছে নদীর বুক জুড়ে জন্মা নেওয়া কচুরিপানার উপর। শয়ে শয়ে মানুষ প্রতিদিন হেঁটে পার হচ্ছেন ওই কচুরিপানার ওপর দিয়ে। শুধু তাই নয়, গবাদি পশুদের খাবার হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে কচুরিপানার উপর গজিয়ে ওঠা ঘাস। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এর সমাধান চেয়ে বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়া সত্ত্বেও ইছামতি নদীর এই অংশের সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে বর্ষা এলেই এই বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়ে। নষ্ট হয় কৃষিজমির ফসল, ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাছ চাষ, ব্যাহত হয় জনজীবন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই প্রসঙ্গে এলাকার প্রবীণ বাসিন্দারা বলেন, আমাদের দাবি ছিল একটি মজবুত সেতুর। কিন্তু বছরের পর বছর সেই দাবি পূরণ হয়নি। এখন নদী পেরোতে আমাদের ভরসা রাখতে হয় কচুরিপানার উপর।। বর্তমানে ইছামতি নদীর প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে জমাট বেঁধে রয়েছে কচুরিপানা, যা এখন সীমান্তের এই গ্রামগুলির মানুষের যাতায়াতের এক অদ্ভুত এবং দৈনন্দিন মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।