বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কোর তরফ থেকে শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকেই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটগুলির সীমানা চিহ্নিতকরণ হয়েছে। বাফার জোন, হেরিটেজ জোন নিয়েই নকশা তৈরি হয়েছে। ফি বছরে চালু হয়েছে হেরিটেজ ওয়াকও। এখন সপ্তাহে একদিন অর্থাৎ রবিবার পর্যটকদের রবীন্দ্র ভবন থেকে টিকিট সংগ্রহ করেই প্রবেশের অনুমতি রয়েছে।
advertisement
রবীন্দ্র-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের টানে প্রত্যেকদিন পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়। ভবিষ্যতে হেরিটেজ ওয়াক-এর দিন বাড়ানোর চিন্তাভাবনাও শুরু করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবে চারটি তোরণ হবে সেই ঐতিহ্যের প্রতীক। যা দূর-দূরান্তের দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে ক্যাম্পাসের প্রবেশপথকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর যে কোনও গেট বা প্রাচীর নির্মাণে প্রখ্যাত শিল্পী সুরেন্দ্রনাথ করের স্থাপত্যশৈলী অনুসরণ করার নিয়ম রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ এই শিল্পী দীর্ঘদিন বোলপুরের কলা ভবনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সেই ঐতিহ্য বজায় রেখে কলা ভবনের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও পড়ুয়াদের একটি দল ইতিমধ্যেই তোরণের নকশা তৈরির ভাবনা শুরু করেছে। ফি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর অনুমতি ছাড়াই তোরণ নির্মাণের উদ্যোগে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতরের অনুমতি ছাড়া কাজ শুরু হওয়ায় বিতর্ক শুরু হয়। তবে সেই বিতর্কের পরেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অনুমতির আবেদন জানিয়েছে পূর্ত দফতরে। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বলেন, হেরিটেজ রক্ষায় রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। উপস্থিত সকলেই তোরণ নির্মাণে সম্মতি জানিয়েছেন। পৌষমেলার আগেই সেই তোরণ তৈরি করে সাজিয়ে তোলা হবে।






