TRENDING:

দুর্গাগ্রাম মানেই মালার রাজ্য! বিশ্বকর্মা পুজোর আগে তুঙ্গে ব্যস্ততা

Last Updated:

সারা বছরই দুর্গাগ্রামের শিল্পীরা মালা তৈরি করেন। তবে বিশ্বকর্মা পুজোর আগে ব্যস্ততা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। গাড়ি, মোটরসাইকেল, সাইকেল এমনকি বড় বড় ট্রাক সাজাতেও লাগে এই গ্রামের তৈরি রঙিন মালা

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান, বনোয়ারীলাল চৌধুরী: কাটোয়ার দুর্গাগ্রাম। প্রথম দেখলে আর পাঁচটা সাধারণ গ্রাম বলেই মনে হবে। কাঁচা রাস্তা, সবুজ ধানখেত, মাটির ঘর সবকিছুই বাংলার গ্রামীণ জীবনের চেনা ছবি। কিন্তু একটু ভেতরে ঢুকলেই বোঝা যায়, এই গ্রাম একেবারেই আলাদা। দুর্গাগ্রামের প্রতিটি উঠোন যেন একেকটা কর্মশালা, যেখানে সারাক্ষণ গড়ে ওঠে রঙিন মালার ঝলমলে নিদর্শন। গ্রামের প্রায় প্রতিটি পরিবারই যুক্ত রয়েছেন মালা তৈরির সঙ্গে। সকাল হতেই শুরু হয় কাজের ব্যস্ততা। কারও হাতে রঙিন কাপড়ের ফুল, কেউ আবার পাটের জরি আর সুতো জড়াচ্ছেন। আবার কেউ শোলার টুকরো দিয়ে নিপুণ হাতে সাজাচ্ছেন নতুন নকশা।
advertisement

বলা যায়, ছোট থেকে বড় সবাই এই পেশার সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছেন। শিল্পী সুশান্ত ঘোষ বলেন, মালা তৈরি করেই আমরা অর্থ উপার্জন করি। গ্রামের অর্ধেক পরিবারের বেশি সবাই এই কাজেই যুক্ত। এটাই আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য। আমাদের তৈরি বিভিন্ন মালা রাজ্যের বিভিন্ন জেলা সহ ভিন রাজ্যেও যায়।

আরও পড়ুন: পুজোর আগেই ১ কোটি ৮৪ লক্ষ খরচ! আলো ঝলমল হয়ে উঠবে এই শহর

advertisement

সারা বছরই দুর্গাগ্রামের শিল্পীরা মালা তৈরি করেন। তবে বিশ্বকর্মা পুজোর আগে ব্যস্ততা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। গাড়ি, মোটরসাইকেল, সাইকেল এমনকি বড় বড় ট্রাক সাজাতেও লাগে এই গ্রামের তৈরি রঙিন মালা। রাজ্যের প্রায় সব প্রান্তেই দুর্গাগ্রামের মালার চাহিদা থাকে চোখে পড়ার মতো। শুধু তাই নয়, ভিনরাজ্যেও রফতানি হয় এই মালা, যা গ্রামের সুনাম বহুদূর ছড়িয়ে দিয়েছে। শিল্পী সুদীপ হাজরা জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে সরঞ্জাম এনে বিভিন্ন পদ্ধতিতে আমাদের মালা তৈরি করতে হয়। খুবই পরিশ্রম হয় তবে উপার্জনও ভালই হয়। পুজোর আগে এখন আমাদের রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে। বিশ্বকর্মা পুজোর আগে প্রচুর অর্ডার আছে।

advertisement

View More

আরও পড়ুন: আতঙ্কের নাম সংকোষ! কী হবে ভেবেই রাত কাবার

এই মালা তৈরিই এখানকার শিল্পীদের একমাত্র ভরসা। এর মাধ্যমেই সংসার চলে, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা হয়, উৎসবের আনন্দও হয়। বহু বছর ধরে এভাবেই দুর্গাগ্রাম গড়ে তুলেছে নিজস্ব পরিচয়। কৃষিকাজ বা অন্যান্য কাজের পাশাপাশি দুর্গাগ্রাম দাঁড়িয়ে আছে এক অনন্য শিল্পের উপর ভর করে। আজ দুর্গাগ্রামের নাম উচ্চারণ করলেই মালার কথা মনে পড়ে। শিল্পীদের কথায়, প্রতিটি মালায় মিশে আছে তাদের পরিশ্রম আর শিল্পসত্তার ছোঁয়া। যাকে হাতিয়ার করে স্বাবলম্বী হচ্ছে গ্রামের শতাধিক মানুষ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
দুর্গাগ্রাম মানেই মালার রাজ্য! বিশ্বকর্মা পুজোর আগে তুঙ্গে ব্যস্ততা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল