বয়স যত গড়াচ্ছে ততই শরীরের কার্যক্ষমতা কমছে, তবুও এখনও বিভিন্ন জায়গায় দিব্যি যে কোনও চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন তিনি। অসহায় বাবার চরিত্র থেকে রাজার পাঠ, সামাজিক থেকে পৌরাণিক নাটক কিংবা যাত্রার যে কোনও চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কখনও সেজেছেন পাঞ্জাবি। এখনও গলায় সেই জোর বিদ্যমান। বয়স প্রায় ৮৫ পেরোলেও গলায় সেই পুরানো স্বর।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
নাটক, থিয়েটার যেন তাঁর রক্তে। সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে বড় হয়ে ওঠা। চোখের সামনেই দেখেছেন স্বাধীনতা আন্দোলন। বাড়ির লোকেরা যুক্ত ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনে। তবে বাবাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন নাট্যচর্চায়। পারিবারিক সেই ধারাকে বহমান রেখেছেন প্রাক্তন এই শিক্ষক। লিখেছেন নাটক, সেই সংখ্যাটাও বেশ। সেই স্কুল জীবন থেকে শুরু নাটক পরিবেশন। একে একে বাবা, পরিবারের অন্যদের থেকে শিখেছেন নাটকের অভিনয় ও সংলাপ। পড়াশুনার পাশাপাশি নিয়মিত করতেন নাটকও। কখনও চরিত্রে অভিনয় আবার কখনও নির্দেশনা সবেতেই পারদর্শী তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা প্রাক্তন শিক্ষক যুগজিৎ নন্দ। বয়স নয় নয় করে ৮৮ বছর, তবুও তাঁর গলায় সেই জোর। এখনও অভিনয় করে কাঁদিয়ে দিতে পারেন দর্শককে, হাঁসিয়ে তুলতে পারেন ছোট থেকে বড় সকলকে। শুধুই যে নাটক অভিনয় করতে, তিনি লেখেন নাটকের দৃশ্য।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে শোরগোল! মাটি খুঁড়তেই সামনে এল ভয়াবহ জিনিস! বিএসএফের চক্ষু চড়কগাছ
ছোট থেকেই বাবার কাছে নাট্যচর্চায় হাতে খড়ি। অভিনয় করেছেন বিভিন্ন নাট্যদলে। স্কুল-কলেজ জীবনে বিভিন্ন নাটক যাত্রাতে অংশ নিয়েছেন তিনি। তবে এখনও তিনি নাটক করেন। যেকোনও চরিত্র তাঁর গলায় মানায়। তবে বর্তমানে স্কুল জীবন থেকে অবসর নিয়ে বাড়িতেই একাধিক নাটক লিখেছেন যুগজিৎ বাবু। শুধু বাংলা নয়, বাংলার পাশাপাশি হিন্দিতেও লিখেছেন একাধিক নাটক। বর্তমানে তাঁর ছেলেরাও নাটকে অভিনয় করে।
বয়স প্রায় ৮৮ বছর। এখন আর তিনি লিখতে পারেন না। পরিবারের সদস্যদের কাছে বসে তিনি বলেন আর অন্যজন লিখে চলেন নাটকের সংলাপ। তবে এখনও তাঁর গলার জোর এবং ভঙ্গিমা একই রয়েছে। এই বয়সে এসেও তিনি ভোলেননি নাট্যচর্চা। সময় পেলে লেগে পড়েন অভিনয় করতে।তবে স্বাভাবিকভাবে তিনি এক ইতিহাস। এখনও নাটক, থিয়েটারের ধারাকে বহমান রেখে চলেছেন তিনি। তার এই শৈল্পিক ভাবনা এবং তার সাংস্কৃতিক চিন্তাধারাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
রঞ্জন চন্দ