গ্রামের অনেকেই ভাবে নিশ্চিত এ কোনও মূল্যবান ধাতু আবার কেউ ভাবে অমূল্য কোন সম্পদ। তবে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ কঠিন বস্তুটি মাটি থেকে তুললে বোঝা যায় আসলে একটি পাথরের শিবলিঙ্গ। তবে কোথা থেকে কীভাবে পাথরের এই শিবলিঙ্গ এল তা জানাতে পারিনি গ্রামের মানুষ। তবে ভগবানের উপর বিশ্বাস রেখে সেই নতুন নির্মিত মন্দিরে মাটি খুঁড়ে পাওয়া মূর্তিকেই প্রতিষ্ঠা করে গ্রামবাসী। তারপর সেই মূর্তি আস্তিক মানুষের ভরসা হয়ে ওঠে। গ্রামের মানুষ জানায় সেই চার-পাঁচ শতাব্দী বছর আগের ভরসা এবং বিশ্বাস আজও রয়েছে মানুষের মনে। এই বর্তমান সময়েও পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে নিয়ম মেনে বাবা কালিঞ্জয়ের পুজো আরাধনা হয়। প্রতি বছর নীল ষষ্ঠী ও গাজন। এই বিশেষ দিনগুলিতে অসংখ্য ভক্ত সমাগম ঘটে।
advertisement
আরও পড়ুন: গাছের অপরাজিতা ফুল দিয়েই ঘরে বানান নীলকণ্ঠ চা! জানুন পদ্ধতি
স্থানীয় মানুষের কথায় জানা যায়, গাজন উৎসবে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ মানুষ সন্ন্যাসী হয়ে আরাধনা করে। বিরামপুর ও পার্শ্ববর্তী আরও ১০-১২ টি গ্রামের মানুষ ভক্তি ভরে পুজো দেওয়া শুরু করেন। এমনও শোনা যায় বাবা কালিঞ্জয়ের কৃপা করলে নাকি, অসাধ্য কাজ সাধ্য হয়। আবার এও শোনা যায় ভক্তি ভরে ডাকলে মানুষেরই মনস্কামানাও নাকি পূর্ণ। এই বর্তমান বিজ্ঞানের সময়েও বাবা কালিঞ্জয়ের প্রতি আস্থা বিশ্বাস রয়েছে গ্রামে। গ্রামের মানুষ এই শিবের আরাধনায় মেতে ওঠে। সারা বছর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থাকে ভক্ত আসেন। ভক্তদের কথায় জানা জানা যায়, বাবা কালিঞ্জয়ের কৃপায় সবকিছু সম্ভব ভক্তি ভরে ডাকলে বিপদমুক্ত হয় বলেও বিশ্বাস তাদের।
রাকেশ মাইতি





