আরও পড়ুন: মোজার কালো ছোপ নিয়ে জেরবার? রইল ৫ টিপস, ১০ মিনিটেই হবে ঝকঝকে পরিস্কার
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাতের অন্ধকারে দিব্যজ্যোতির দর্শন! ভূপৃষ্ঠে থাকা জলাশয়ের মধ্যেই অবিকল সূর্যদেবের জ্বলন্ত রূপ। সোমবার রাত থেকেই ভগবানের অসীম কৃপা শুরু হয়েছে। তবে দিনের আলো ফুটতেই দিব্যজ্যোতিও উধাও। দিন গড়িয়ে রাতের অন্ধকার নামতেই আবারও গোল আলোর ঝলকানি। এমনই এক অলৌকিক ঘটনার স্বাক্ষী হুগলির রিষড়া পুরসভার কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের ৩ নম্বর পদ্মপুকুরের বাসিন্দারা। সাধারণের ভিড় সামলাতে মোতায়েন পুলিশও। স্থানীয়দের বক্তব্য, বহু পুরনো, এলাকার এই পদ্মপুকুর। এখানে ৩৩ কোটি দেবতা সমৃদ্ধ হিন্দু সমাজের নানাবিধ দেব-দেবীর বিসর্জন হয়েছে। তাই তাঁদের বিশ্বাস, ঈশ্বরের অসীম কৃপাতেই ওই পুকুর থেকে দিব্যজ্যোতির আগমন হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কেউ কাজ দিচ্ছে না, হাতের কাজও করা অসম্ভব, জোড়া সমস্যায় দুর্গা পিতুরির সোনার কারিগররা
যদিও বিজ্ঞান মনস্কদের মতে কিন্তু বর্ষায় পুকুরে আলো দেখার সাথে কোন অলৌকিক কিংবা ভৌতিক ঘটনার মিল নেই। রিষড়া বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের সদস্য রথীন শীল বলেন, "এই ঘটনার কারণ অলৌকিক অথবা ভৌতিক নয়। পুকুরে রাসয়নিক কোনও বিক্রিয়ার ফলেই আলোক ছটা বেড়িয়ে আসতে পারে। আসলে এটি 'আলেয়া'। পুরনো পুকুরে পাঁক কিংবা পচে যাওয়া গাছ-পাতা অথবা আবর্জনা থেকে বেরনো মিথেন গ্যাস বর্ষায় বায়ুর সংস্পর্শে এসে জ্বলে উঠে।
মিথেন গ্যাস বেশী থাকলে আগুন জলের বাইরে বেড়িয়ে আসতে পারে আবার অনেক সময় জলের নীচে কিংবা জলস্তরেও তা জ্বলজ্বল করতে পারে। যাকে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে 'আলেয়া' বলা হয়।" রিষড়ার ৩ নম্বর পদ্মপুকুরেও সেই আলেয়ার দেখা মিলেছে। সুতরাং এটি কোনও অলৌকিক কিংবা ভৌতিক ঘটনা নয় বলে মত তাঁর।
Rahi Haldar
