পূজার মা মিনা দেবী বলেন, ‘পূজার যখন বয়স আড়াই বছর তখন থেকে বাবা নিখোঁজ। এরপর থেকেই লোকের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কাজ করে সংসার চালাচ্ছি। আমরা বর্তমানে রানাঘাট স্টেশন সংলগ্ন চাবি গেট এলাকায় সরকারি জায়গায় বসবাস করি। তবে মেয়ে পড়াশোনার খরচ নিজেই জোগাড় করত। পড়াশোনা শিখলেও চাকরি জোটেনি কপালে, তাই নিজের বুদ্ধিতে ফুচকার দোকান খুলল। তবে মেয়ে এখন আর আমাকে লোকের বাড়িতে কাজ করতে দেয় না।’
advertisement
পূজা বর্তমানে পয়সা জমিয়ে একটি গাড়ি তৈরি করেছেন। প্রতিদিন বাড়ি থেকে ফুচকার গাড়ি রেডি করে রানাঘাট শহরের স্বামী বিবেকানন্দ রোডের ধারে ফুচকা বিক্রি করছেন। পূজার আক্ষেপ, বিএড (BEd) পাশ করে যখন চাকরি পাননি, তখন এই প্রতিষ্ঠানের নাম রেখেছেন বিএড( BEd) ফুচকা দিদি। ক্রেতারা বলেন, “দিদিকে দেখে অনেক মেয়েরাই উৎসাহিত হবেন। কোনও কাজে লজ্জা নেই, সৎ ভাবে সব কাজ করা যায়” ।