গ্রামের বাসিন্দা সৌভিক ক্ষেত্রপাল জানিয়েছেন, “রোগের কারণে পর পর চারজনের মৃত্যু হয়েছে গ্রামে। তারপর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রত্যেকটা মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর সবাই বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছেন। আদৌ আমরা জানি না এটা ভূত নাকি মানুষ! তবে সবাই খুবই ভয়ে রয়েছে।”
গ্রামের অধিকাংশ মানুষ বর্তমানে একটা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। অনেকে আবার বলছেন যে, ওঝা নিয়ে এলেই বোঝা যাবে আদেও ভূত আছে না নেই। ভূতের আতঙ্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না গ্রামবাসীদের। তবে নিজের চোখে ভূত দেখেছেন এরকম কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গ্রামের সকলের দাবি, ভূতের কথা তারা শুধুমাত্র শুনেছেন। লোকমুখে আজগুবি বিভিন্ন কথা ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামে। সেই কারণেই একটা আতঙ্কের পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামের কিছু কিছু বাসিন্দা জানিয়েছেন, তারা কর্মসূত্রে মধ্যরাতেও অনেক সময় যাতায়াত করেছেন। তবে তাদের চোখেও ভূত ধরা পড়েনি বা কোনও রকম খারাপ কিছু ঘটেনি।
advertisement
এটাকে অন্ধবিশ্বাস বলেই মনে করছেন কিছু মানুষ। তবে অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার হলেও ভূতের আতঙ্ক থেকেই যাচ্ছে। গ্রামে ভূতের আতঙ্কের খবর শোনার পরে গ্রামে প্রশাসন এবং বিজ্ঞানমঞ্চের প্রতিনিধিরাও এসেছেন। তারা গ্রামবাসীদের সম্পূর্ণ বিষয়ে সচেতনও করেছেন। ব্লকের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণচন্দ্র মুণ্ডা বলেন, “গ্রামে চারজন মানুষের মৃত্যুর পর একটা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। আর যেহেতু আলো নেই অনেক জায়গাতেই, তাই রাতে তারা ভয় পাচ্ছে। আতঙ্কের কথা তারা বলছে। আমরা সবাই বিষয়টা দেখে গেলাম। আলোর ব্যবস্থা করা হবে এবং পুলিশ পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকেও লোকজন আসবেন। তাদের মনোবল যাতে আমরা বাড়াতে পারি সেই উদ্যোগ নিচ্ছি।”
প্রশাসন, বিজ্ঞানমঞ্চের তরফ থেকে বোঝানো হয়েছে যে, ভূত বলে কিছু নেই। কিন্তু তারপরও গ্রামবাসীদের আতঙ্ক কাটছে না। গুজব ছড়ানোর কারণেই যেন আরও বেশি করে আতঙ্ক গ্রাস করেছে গ্রামবাসীদের।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী