জমি হস্তান্তরের কাজ শেষ হতেই দ্রুতগতিতে কাজে নেমেছে রেল দফতর। প্রাথমিকভাবে ব্রিজের কাজ আগেই করে রেখেছিল রেল দফতর। পরবর্তী সময়ের জমি পেতেই এখন বিভিন্ন এলাকায় রেললাইন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। স্কুল বিল্ডিং ভাঙা পড়লে সমস্যায় পড়বে পড়ুয়ারা। যাতে কোনরকম পড়াশোনার বিঘ্ন না হয়, সেই জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
advertisement
জেলার জমির অধিগ্রহণ দফতর সূত্রে খবর, রেলের তরফে ওই প্রকল্পের জন্য প্রায় ২৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ইতিমধ্যে প্রায় ১৮০ কোটি টাকা জমিদাতাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বাকি টাকা জমিদাতাদের এবং গাছের মালিক ও অন্যান্য খাতে যাবে।
বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত প্রায় ২৯ কিলোমিটার রেল লাইনের জন্য প্রায় ৩৮৬.৪১৫৫ একর জমি নেওয়া হয়েছে। তার ১০০ শতাংশ জমি তিন দফায় রেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১৪ বছর পর নতুনভাবে বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের ব্যাপারে তোরজোর শুরু হয়।
আরও পড়ুন- আরও কাছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া! হাওড়া থেকে মশাগ্রাম হয়ে চালু নতুন ট্রেন, জানুন পুরো রুট
প্রথম ধাপে বালুরঘাট থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় ধাপে কামারপাড়া থেকে হিলি পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়। বালুরঘাটের গোবিন্দপুর থেকে হিলির আপ্তৈইর পর্যন্ত মোট ৪১টি মৌজার জমি অধিগ্রহণ হয়েছে।
গ্রামবাসীরা জানান, বিল্ডিং তৈরির ক্ষেত্রে নিম্নমানের সামগ্রী-সহ একাধিক অভিযোগ বারবার উঠে এসেছে। কিন্তু জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজের গুণমান বজায়ের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। পুজোর আগেই যদি স্কুল বিল্ডিং এর কাজ শেষ করা যায়, তা হলে অসুবিধা হবে না। কিন্তু যেভাবে বর্ষা শুরু হয়েছে তাতে আগামী দু মাস কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে, তা মেনে নিয়েছে নির্মাণকারী সংস্থা। তবুও যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
সুস্মিতা গোস্বামী