স্থানীয় সূত্রে খবর, নপাড়ার বাদামতলার মাঠ বহুদিনের পুরনো। সেই মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল প্রমোটিংয়ের উদ্দেশ্যে। লক্ষ্য ছিল মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা নিয়ে গিয়ে পিছনের জমির কাছে পৌঁছে যাওয়া। যাতে ওই জমি পরবর্তীতে প্লটিং করে বিক্রি করা যায়। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সরগরম হয়ে উঠছিল গোটা গ্রাম। গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে আছেন খবর পেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এলাকায় গিয়েছিলেন শনিবার। রবিবার বিকেলে মাঠে খেলাধুলো চলাকালীন দেখা যায় মাঠের পশ্চিম দিক পরিষ্কার করে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। খবর পেয়েই প্রায় সকল গ্রামবাসী মাঠে এসে হাজির হন। যে ঠিকাদার রাস্তা তৈরির কাজ করছিলেন তাঁকে ঘিরে ধরেন গ্রামবাসীরা। তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। শেষমেশ বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা তৈরির কাজ।
advertisement
আরও পড়ুন: দিন চলে যায়, ১০০ বছরের পুরনো শিল্পের শিল্পীদের কথা ভাবে না কেউ
ঠিকাদার পীযুষ মজুমদার জানান, তাপস নামে কেউ একজন তাঁকে এই কাজের বরাত দিয়েছেন। যদিও তাপসের টাইটেল কী বা বাড়ি কোথায় সেসব কিছুই বলতে পারেননি তিনি। তাপসকে নাকি কানাইপুর পঞ্চায়েতের তৃমমূল সদস্য নন্দদুলাল নস্কর বলেছিলেন রাস্তা করে নিতে। যদিও পঞ্চায়েত সদস্য সেই কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরির কোনও বিষয় নেই। বেশ কিছুদিন ধরে কানাইপুর নপাড়া অঞ্চলে জমি কেনা-বেচা চলছে। অনেকেই তাঁর কাছে আসেন বাড়ি তৈরির অনুমতি নিতে। তিনি অনুমতি দিয়েও দেন। মাঠের জমি দখল নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে শুনে তিনি নিজে ন’পাড়ায় গিয়েছিলেন বলেও জানান ওই পঞ্চায়েত সদস্য।
ওই গ্রামের বাসিন্দার পরিষ্কার জানিয়েছেন, বহুদিন ধরে ওই মাঠে এলাকার ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করে আসছে। সেই মাঠ কারোর ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার হতে দেবেন না। কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রাক্তন প্রধান তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা আচ্ছালাল যাদব বলেন, মাঠ দখল করে রাস্তা করা বা প্রমোটিং করা এটা তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করে না। আমি গত পাঁচ বছর যখন প্রধান ছিলাম তখন আমার আতঙ্কে জমি মাফিয়ারা এলাকা ছেড়েছিল। এখন হয়ত সেই দিকে আর নজর দেওয়া হয় না, তাই এসব হচ্ছে। পঞ্চায়েতে যারা দায়িত্বে আছেন তাঁদের উচিত এগুলো দেখা।
রাহী হালদার